লালবাগে খোলা বাজার থেকে নিম্নমানের ও নকল পণ্য প্যাকেটজাত করে আনাফ ব্র্যান্ডের নামে বাজারজাত করছে আনাফ শপ নামের একটি অনলাইন শপ।
গত শনিবার বিকেলে লালবাগের ৬/২ রাজা শ্রীনাথ রোডের বাড়ি-তে সরেজমিন দেখা যায়, খোলা বাজার থেকে তেল, হলুদ- মরিচ, ধনিয়া গুড়া, আটা, গুড়, মাছ-মাংস, চিনি, ছোলা, বেসন, ঘি ও চাল সহ বিভিন্ন ভেজাল পন্য করে বিভিন্ন পণ্য সংগ্রহ করে আনাফ শপের মোড়কে প্যাকেটজাত করে তা বাজারজাত করছে একজন বিক্রয়কর্মী।
একজন ক্রেতা জানান, এটা পুরোটাই বেজালের স্বর্গরাজ্য। যেখানে সস্তায় পায় সেখান থেকে পণ্য কিনে সুন্দর প্যাকেট করে লেভেল লাগিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করে, আমি পণ্য হাতে নেওয়ার পর দেখি বিএসটিআই নাই। ওদের পুরো ব্যাবসাটাই ঠকবাজি।
বিক্রয়কর্মীর জানান, আজ ৮ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে। আমি আজিমপুর এলাকা দেখি। অন্য এলাকায় আরো লোক আছে। বিএসটিআইয়ের অনুমোদনের বিষয়ে
জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা কি দুই নাম্বার কোন জিনিস বিক্রি করছি? তারপরও যদি ব্যাবসায় ঝামেলা আসে তাহলে তো মানুষ ছিনতাই করবে। এরকম হাজার হাজার লোকে করতেছে। প্রতিষ্ঠানের মালিক (আতিক) আপনাকে সব কাগজ দেখাতে পারবে।
আনাফ শপের মালিক আতিক জানান, ব্যাবসাটা আমি করি না, যাকে বসা দেখছেন সে করে। গত করোনাকালিন সময়ে তার চাকুরী চলে যায় তারপর থেকে ও করে। মসলা দোকান থেকে ভাঙাইয়া বক্সে করে দিয়ে দেয়, আমার কিছু পুরোনো লিফলেট ছিল সেগুলোই মাঝেমধ্যে দিয়ে দেয় গেটাপটা সুন্দর করার জন্য।
তাছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্য না। অর্ডার হলে বাজার থেকে মাংশটা কিনে দেয়। আমার ব্যাবসায় প্রতিমাসে ৩০/৪০ হাজার টাকা লস হয়। এখানে বন্ধুবান্ধব নিয়া আড্ডা দেই। আমরা মানুষ চড়াইয়া খাই, সবধরনের বড়-বড় লোকের সাথে আমার ওঠাবসা। জাহিদ আমার ফ্রেন্ড মানিক আমার ক্লোজ ফ্রেন্ড। ১১ হাজার পাচশত টাকা দিয়া সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স করা এরপর আর কি করতে হয়।
আনাফ আমার ফার্মের নাম। যেহেতু আমার নিজস্ব প্রোডাক্ট নাই, মার্কেটে দিচ্ছি না তাই ওই লাইনে হাটি নাই। লালবাগ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, এবিষয়ে আমার জানা নেই, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো।