ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় রাতের বেলায় চলছে দেশীয় সংস্কৃতি লোকসংগীতের অংশ গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী কবি গানের আসর। সাধারণত রাত ১০টায় শুরু হয় এসব কবি গানের আসর। যা চলে প্রায় সকাল পর্যন্ত। পাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর পাড়িয়া গ্রামে অনুষ্ঠিত কবি গানের আসরে সন্ধ্যা থেকেই কান্তিভিটা, বঙ্গোভিটা, সালডাঙ্গা, বামুনিয়া, রায়মহল, তিলকড়া, লোহাগাড়া সহ আশপাশের গ্রাম থেকে শত শত মানুষের সমাগম ঘটে। রাত যতই গভীর হয়, ততই বাড়তে থাকে মানুষের সমাগম। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় রাতের বেলায় চলছে দেশীয় সংস্কৃতি লোকসংগীতের অংশ গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী কবি গানের আসর। সাধারণত রাত ১০টায় শুরু হয় এসব কবি গানের আসর। যা চলে প্রায় সকাল পর্যন্ত। সাদা সাদা, কালা কালা’ গান দিয়ে শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী কবি গান। বাঁশের উপর কাপড়ের সামিয়ানা টাঙিয়ে তার মাঝখানে বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছেন বাদকরা, পাশেই এপারে একদল ওপারে একদল গান করছেন। চারপাশে শত শত লোক ভিড় করছেন গান শোনার জন্য। কেউ মাটিতে খড় বিছিয়ে বসে গান শুনছেন কেউ বা দাঁড়িয়ে আছেন। অনেকে শীতের চাদর মুড়িয়ে আসছেন গান শুনতে। এমন জমজমাট পরিবেশ দেখা যায় আসরে। রাণীসংকৈল উপজেলার বলিদারা মুক্তা সরকার কবি গানের গায়িকা মুক্তা সরকার ও তার দল এই কবি গানে অংশগ্রহণ করেন। বামুনিয়া থেকে কবি গান শুনতে আসা ৩ নং- ওয়ার্ড সদস্য আইয়ুব আলী বলেন, এক সময়ের গ্রাম-বাংলার বিনোদনের অন্যতম খোরাক এই কবি গান। তাৎক্ষণিক সুরের সাথে কথা বেঁধে মঞ্চে এ গান পরিবেশন করা হয়। পাল্টাপাল্টি যুক্তি-তর্ক আর গানে গানে দুই কবিয়ালের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে চলে এ কবি গান। গানের আসরে দুটি দলই পালাক্রমে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে গান পরিবেশন করে। এটি বাংলা লোকসংগীতের একটি বিশেষ ধারা।