গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উরফি ইউনিয়নে একটি সরকারি পুকুর দখল করে চেয়ারম্যান মেম্বরের মাছ চাষ করার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাযায়, উরফি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মনির গাজী ও ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল বসার খাঁন মধুপুর এলাকার জেলা পরিষদের মালিকানাধীন প্রায় ২ একরের একটি পুকুর জবর দখল করে মাছ ছেড়ে চাষাবাদ করছে। এতে ওই গ্ৰামের মানুষের নিরাপদ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। একমাত্র পানির উৎস টি জবর দখল হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরকারি পুকুর পাড়ের বসতি জহুর খাঁন, দিন ইসলাম খান, আহাম্মদ খাঁন, জাকিয়া বেগম, তাসলিমা বেগম ও জেসমিন বেগম সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের এ গ্ৰামটি ঘনবসতিপূর্ণ, এখানে ২টি গুচ্ছগ্ৰাম রয়েছে, জেলা পরিষদ ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জনস্বার্থে পুকুরটি থেকে নিরাপদ পানি এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে সরবরাহের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুকুরটিতে খনন, চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া, পানির প্লান্ট, সোলার প্যানেল সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে। পরে সাধারণ মানুষদের জন্য পুকুরটি উন্মুক্ত করে দেয়। কিছু দিন পূর্বে প্লান্টটি অকেজো হয়ে পড়ে, এসুযোগে চেয়ারম্যান মনির গাজী, মেম্বর আবুল
বসার খাঁনসহ তাদের দলিয় লোকজন পুকুরে মাছ ছেড়ে দখল করেছে। এখন আমরা রান্না, গোসল ও খাবার পানির সংকটে পড়েছি। প্রভাবশালী ওই চেয়ারম্যান মেম্বরের ভয়ে প্রতিবাদও করতে পারছি না। এছাড়াও সাংবাদিকদের কাছে চেয়ারম্যান মেম্বরের মাছ ছাড়ার ঘটনা বলায় পরিষদের চৌকিদার ও দলটিও লোক পাঠিয়ে মামলা হামলার ভয়ে দেখাচ্ছে।
এবিষয়ে জেলা পরিষদের সহকারী প্রোকৌলী শরিফ মনির হোসেন বলেন, পুকুরটিতে ওই এলাকার মানুষের জন্য নিরাপদ পানির প্লান্ট করা, আমিও শুনেছি মাছ ছাড়ার কথা, পুকুরটি জেলা পরিষদের, জেলা পরিষদ কাউকে লিজ দেয়নি, যত বড় ক্ষমতাধর চেয়ারম্যান মেম্বর দখল করুক দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিয়ে উদ্ধার করা হবে।
এবিষয়ে উরফি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান মনির গাজী, ও ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য বসার খাঁন পুকুর দখল করে মাছ ছাড়ার কথা অস্বীকার করেন।