খুলনার বটিয়াঘাটা থানার সাবেক ওসি শেখ আবু বকর সিদ্দিক ও তার স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া পারুলের বিরুদ্ধে দুটি মানি লন্ডারিং মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার বিকেলে দুদক-খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দুটি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন উপ-পরিচালক নাজমুল হাসান। বর্তমানে আবু বকর সিদ্দিক চুয়াডাঙ্গা জেলা ডিএসবির পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত। তিনি সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা হলেও গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের চুলকাঠি এলাকায়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত শেখ আবু বকর সিদ্দিক দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৮ লাখ ৬৯ হাজার ১৫৬ টাকার সম্পদ ও তথ্য গোপন করেন। এছাড়া তার আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৩৩ লাখ ৮৫৯ টাকার সম্পদ নিজ মালিকানা ও ভোগ-দখলে রেখে এবং সরকারি চাকরিতে থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ২১ লাখ ৭০ হাজার টাকা স্ত্রীর নামে দান দেখিয়ে বৈধ করার চেষ্টা করেন। এ অপরাধে দুদক ২০০৪ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২০১২ ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করে।
একই ধারায় অপর মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে তার স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া পারুলকে এবং ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে স্বামী শেখ আবু বকর সিদ্দিককে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, ২০০০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে পারুল দুদকের সম্পদ বিবরণীতে ১৬ লাখ ৬৫ হাজার ৯০২ টাকার তথ্য গোপনসহ ১ কোটি ১ লাখ ২৯ হাজার ৯৫৯ টাকা আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন। স্বামী আবু বকর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা স্ত্রীকে দান হিসেবে দেন এবং ঠিকাদারি ব্যবসার মাধ্যমে আয় দেখিয়ে বৈধ করার চেষ্টায় মামলা করা হয়েছে।
দুদক-খুলনার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপ-পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে মামলা দুটি করা হয়েছে। মামলার বাদী উপ-সহকারী পরিচালক মো. আল আমীন।