প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে আরো ৫ হাজার ৫০২ জন মারা গেছেন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ৩০ জন কমেছে। এতে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ৪৮ লাখ ৬২ হাজার ৩৪৫ জনে পৌঁছেছে।
একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৩২৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৯৪ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২৩ কোটি ৮৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৫০ জনে দাঁড়িয়েছে।
মহামারি এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার শুরু থেকে বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে রোববার সকালে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এ সময়ে দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ৩৫৭ জন এবং মারা গেছেন ৫৮১ জন। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৫১ লাখ ৭৯ হাজার ২০৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৫৮ জন মারা গেছেন।
এদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৯৬৮ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২৯ হাজার ৩৬২ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭৭ লাখ ৪৬ হাজার ৭১৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৪৫৩ জনের।
আর লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৮৭ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ৪৫১ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ১৮১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৮০ জনের।
এদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃতের সংখ্যার তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২১৩ জন এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৯৪০ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৫২ হাজার ২৭৫ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৫০ হাজার ৬২১ জন।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ ঘোষণা করে।