পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, মহামারি, জীব-বৈচিত্র্য ধ্বংস, জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই উন্নয়ন অর্জনের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলার জন্য প্রকৃতিভিত্তিক সমাধানই সবচেয়ে কার্যকর উপায়। তাই বাংলাদেশ জলবায়ু, প্রকৃতি এবং উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জনের জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার সুওন শহরে হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত ‘ফোর্থ ইউনাইটেড নেশন্স এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম সেশন্স অব দ্যা ফোরাম অব মিনিস্টার্স এন্ড এনভায়রনমেন্ট অথোরিটিজ অব এশিয়া প্যাসিফিক’ -এ ঢাকাস্থ সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তার বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জলবায়ু সহিষ্ণু জাতি গঠনের জন্য ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১-এ উন্নত ও টেকসই পরিবেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে ‘গ্রিন গ্রোথ স্ট্র্যাটেজি’ গ্রহণ করা হয়েছে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘমেয়াদি পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত এবং কার্যকরভাবে জলবায়ু ঝুঁকি হ্রাসের মাধ্যমে একটি নিরাপদ, জলবায়ু-সহিষ্ণু এবং সমৃদ্ধ বদ্বীপ অর্জনের জন্য সরকার ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ গ্রহণ করেছে। গ্রিন হাউজ গ্যাসের নির্গমন কমাতে, বাংলাদেশ এ বছরের ২৬ আগস্ট ইউএনএফসিসিতে সংশোধিত এবং উন্নত ‘ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন্স’ জমা দিয়েছে।
শাহাব উদ্দিন বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ু সহিষ্ণুতা ও প্রকৃতিভিত্তিক পদ্ধতির ওপর গুরুত্ব প্রদান এবং স্থানীয়ভাবে বাস্তবায়নযোগ্য অভিযোজন পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশ ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান ২০৩০’ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এছাড়াও সরকার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেইঞ্জ স্ট্রাটেজি এন্ড একশন প্ল্যান’, ‘কান্ট্রি ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান অন এনভায়রনমেন্ট, ফরেস্ট্রি এন্ড ক্লাইমেট চেইঞ্জ’, ‘রিনিউএবল এনার্জি রোডম্যাপ’ এবং ‘প্লাস্টিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট একশন প্ল্যান’ প্রভৃতি সেক্টোরাল পলিসি ও একশন প্ল্যান বাস্তবায়নে কাজ করছে। জাতীয় পর্যায়ে গৃহীত এসকল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রী আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সম্মেলনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রীগণ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানগণ বক্তৃতা করেন।