জাতীয় নির্বাচনের মতো পৌর নির্বাচনেও ভোটকেন্দ্র ক্ষমতাসীনদের দখলেই বলে অভিযোগ করেছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। শনিবার সকালে গুলশানে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই অভিযোগ করেন। স্থানীয় সরকারের পৌরসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে আজ সারা দেশে ৬০টি পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, আমরা যতটুকু খবর পেয়েছি, আজকের পৌরসভার নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা সকাল থেকেই আমাদের এজেন্টদের সেন্টারে যেতে দেয়নি। অনেক জায়গায় বের করে দিয়েছে, এমনকি বিএনপি সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রের কাছেও যেতে দিচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, ওরা (ক্ষমতাসীন দল) কাদের সমর্থন পাচ্ছে? প্রশাসনের। তারা গায়ের জোরে ভোটকেন্দ্র দখল করেছে। জাতীয় নির্বাচনের মতো পৌরসভা নির্বাচনেও তারা একই ধরনের কাজ করছে। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সরকার সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে অভিযোগও করেন খন্দকার মোশাররফ। খন্দকার মোশাররফ বলেন, ভোটকেন্দ্রের অবস্থা কী, তা আওয়ামী লীগের নেতারা কিছু কিছু মুখ খুলতে শুরু করেছে। আমি তা বলতে চাই না। সত্যিকার ভোট হইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা দরজা ঠুয়াই পাইবো না, দরজা নাকি খুঁজে পাবে না—এটা তো আওয়ামী লীগের প্রার্থীর (ওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের মির্জা) মুখ থেকে আসছে। আসলে তাই। ইভিএমে ভোট গ্রহণের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, এমনিতেই মানুষ ভোট দিতে পারে না। এখন আবার মেশিনে ভোট। এই মেশিনে ভোটে দুরভিসন্ধি আছে। এর আগে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে দলের উপকমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অবসরপ্রাপ্ত মেজর শাহজাহান ওমরের সভাপতিত্বে এই বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল জয়নাল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, মুক্তিযোদ্ধা দলের উপদেষ্টা শাহ মো. আবু জাফর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।