হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার রাতে এক শোক বার্তায় তিনি মরহুম আল্লামা আহমদ শফীর আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও অনুসারীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, আল্লামা শাহ আহমদ শফী ইসলামি শিক্ষা প্রসার ও প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের বাণী প্রচার এবং ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে তিনি সারাজীবন কাজ করেছেন। তার মৃত্যুতে মুসলিম উম্মাহ একজন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদকে হারিয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আল্লামা আহমদ শফী। তিনি চট্টগ্রামের আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহতামিম (মহাপরিচালক) পদে থাকা দেশের প্রবীণ কওমি আলেম।
গত বৃহস্পতিবার তিনি সেচ্ছায় পদত্যাগের পরে হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদ (মজলিসে শুরা কমিটি) তাকে মহাপরিচালক পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে মাদ্রাসার উপদেষ্টা (সদরে মুহতামিম) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
ওই দিনই ছাত্র বিক্ষোভের মুখে অবরুদ্ধ অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। মাদ্রাসার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়ার পর বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে চট্টগ্রাম হাসপাতালে নেয়া হয়।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা আল্লামা শফীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে শুক্রবার সন্ধ্যার আগে ঢাকায় এনে আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
শতবর্ষী আল্লামা আহমদ শফী দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। চট্টগ্রামের রাঙ্গনিয়া উপজেলার পাখিয়ারটিলা গ্রামে ১৯১৬ সালে জন্মগ্রহণকারী আহমদ শফী মৃত্যুকালে দুই ছেলে, তিন মেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।