![Daily Nabochatona](https://dailynabochatona.com/wp-content/uploads/2023/01/31BwAd3.png)
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এর গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল গুলো বিভিন্ন সেক্টর কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে বসবাসকারীদের সেবা প্রদান করার নিজেস্ব রেওয়াজ রয়েছে। যা পরিচালনার জন্য প্রতিটি সেক্টরে সেক্টর কল্যান সমিতি নামক “জনছেদার” অফিসে পরিনত হয়েছে। উত্তরা ৪ নং সেক্টর কল্যান সমিতি তাদের মধ্যে অন্যতম। তাদের নানা ধরনের অনিয়ম ও অনৈতিক কার্যক্রমে সেক্টরবাসীসহ নগরবাসীর কাছে প্রশ্ন উঠেছে। ৪ নং সেক্টরে বিভিন্নি যায়গায় গাছ কেটে উজার করার মত গুরুতর অভিযোগ উঠেছে অত্র সমিতির কর্মকর্তাদের উপর। কল্যান সমিতির কর্মকর্তারা মিলে সেক্টর বাসীর চোখে ধুলো দিয়ে গাছ কাটা, সেক্টরে রিক্সা চালকদের পোশাক ফি বানিজ্য, সেক্টর সদস্যদের নিকট কল্যান চাঁদা তছরুপ ,আয়-ব্যয় অব্যবস্থা, রাজউকে খেলার মাঠ নিজেরা ভাড়া দিয়ে অর্থ তছরুপসহ নানাবিধ গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে। চলতি সপ্তাহে দি ক্রাইম টিমের হাতে শতাধিক গাছকাটার প্রমান হাতে এসেছে। তবে বনবিভাগের একটি সূত্র জানায় টঙ্গী আব্দুল্লাহপুর আজমপুর রেললাইনটির দু’পাশে বড় বড় গাছের ডাল পালা রেলগাড়ি ড্রাইভিং সমস্যা কারেনে বাংলাদেশ রেলওয়ে বনবিভাগ কে চিঠি দিলে তারা গাছ ছাটাাই বা ডাল কাঁটার অনুমতি দেয়। এ ছাড়া সেক্টরের কোন উন্নয়ন বা অন্য কোন কারণে গাছ কাটার কোন চিঠি বা অনুমতি বণবিভাগের কাছ থেকে নেওয়া হয়নি। অনুমতি না নিয়ে গাছ কাটা বা বনজদ্রব্য বিনাশ অবৈধ এবং শাস্তি যোগ্য অপরাধ বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করে । এ বিষয়ে সামাজিক বনায়ন বিভাগ বন রেঞ্জ কর্মকর্তা জনাব তারেক দি ক্রাইমকে বলেন, ভাই সেক্টরে গাছকাটার কোন পার্মিট আমরা দেই নাই। আপনার তথ্যটি আমি খতিয়ে দেখবো, গাছ কাটলে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া রিক্সাওয়ালাদের নিকট থেকে পোশাক এবং নেম প্লেট এর জন্য ৭০০ রিক্সাওয়ালার নিকট থেকে ১৩০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সে সকল সুবিধা পাননি তারা বলে কয়েকজন জানায়। সেক্টরে মশার ঔষধ স্প্রে করলেও সেই কীটনাশক এর কোন স্বাস্থ্যপত্র আছে কিনা তারও কোন হদিস নাই। সিসি ক্যামেরার রেজুলেশন দূর্বল, সিকিউরিটি রেখেছে তবে তাদের অফিসের পাশেই মাঝে মাঝে ছিনতাই হয়। নগরবাসীর প্রশ্ন তাহলে গোটা সেক্টর কি ভাবে পাহারা দিচ্ছে? এ বিষয়ে অত্র সেক্টর কল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক মূর্তুজা বলেন, আমি আপনার সকল প্রশ্ন নোট করে রাখছি আপনি একদিন অফিসে আসেন চা খাওয়ার দাওয়াত রইল। অন্যদিকে দেখা গেছে সেক্টরের প্রায় সব গেইট বন্ধ রাখা হয সব সময়। কারণ অকারণে কেন তার কোন যৌক্তিক ব্যাখ্যা নেই। নিরাপত্তার বিষয় দেখার কথা সিটি করপোরেশন অথবা পুলিশের। এদিকে সেক্টরের মধ্যে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, আবাসিক হোটেল। যেখানে এই সেক্টর কল্যাণ সমিতির কিছু কর্মকর্তাদের মদদে প্রতিনিয়ত মাদক গ্রহন এবং অসামাজিক কার্যকলাপ চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে । কিছু ফ্লাটে অহরহ চলে অসামান্য কার্যকলাপ। যেখানে এই কল্যাণ সমিতির কারো কারো অবাধ যাতায়াত রয়েছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করে। অন্যদিকে গভীর রাতে দেখা যায় সিকিউরিটিরা মাল বোঝাই ট্রাক এবং পিকাপ থেকে অযথা আটকে চাঁদাবাজী করে। তাদের একজন নাম না প্রকাশের শর্তে জানায়,এই ভাগ কল্যাণ সমিতির উপড়ের কর্তারাও পায় বলে জানা যায়। একদিকে সদস্যদের নিকট থেকে চাদাবাজী রাজউক এর সম্পদ দখল ও তছরুপ, অবৈধ ভাবে সম্পত্তির ভাড়া দিয়ে অর্থ লোপাটের মাধ্যমে সেক্টর এর কি কল্যান করছে সেই প্রশ্ন এখন সবখানে।