রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তা নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে নদী তীরবর্তী গদাই ও পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের মানুষের। ইতিমধ্যেই তিস্তা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বালাপাড়া ইউনিয়নের গদাই পাঞ্জরভাঙ্গা, গ্রামের বেশকিছু বসতভিটা ও ১০০ হেক্টর ফসলি জমি আর গাছপালা। তিস্তা নদী ভাঙনে অসহায় এলাকাবাসীর দাবি, ত্রাণ নয় নদী ভাঙন থেকে তাদের বাপ-দাদার রেখে যাওয়া শেষ সম্বল বাড়ি-ভিটা রক্ষা করার। তাদের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করে কোনো ফল পাচ্ছেন না। জানা যায়, কাউনিয়া উপজেলার গদাই, পাঞ্চরভাঙ্গা, আরাজী হরিশ্বর, চর হয়বৎখাঁসহ নদী তীরবর্তী গ্রামের হাজার হাজার পরিবার ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে। গত দুই সপ্তাহে তিস্তা নদীর করাল গ্রাসে পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের কয়েকটি বসতভিটা ও কয়েকশ বিঘা ফসলি জমি, বাঁশঝাড়, গাছপালা ও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের খবর পেয়ে গত বুধবার (১৫ মে) পরিদর্শনে আসেন পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব ও উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আখিনুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বালাপাড়া ইউপি সদস্য মোঃ শাহ আলমসহ গদাই গ্রামের শত মানুষ। কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিদুল হক বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তিস্তা নদীর ভাঙন পরিদর্শন শেষে প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব বলেন, ১৯০ মিটার পাড় টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ চলমান। সেখানকার যায়গা ভালো আছে। বাকি জায়গায় জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জিও ব্যাগ বরাদ্দ এনে ভাঙনের গতিপথ কমানোর চেষ্টা করব।