গত ৬ এপ্রিল সংবাদ সংগ্রহের সময় রাজধানীর দক্ষিণখান কাঁচাবাজারে চাঁদাবাজদের হামলার শিকার হন দৈনিক নবচেতনার সাংবাদিক মাসুদ রানা বিজয়। দক্ষিণখান বাজার এলাকায় প্রধান সড়কের উপর ভ্যান গাড়িতে সবজির দোকান বসিয়ে দোকানদারি করতে থাকেন মো. কবির (৪৫) ও তার ছেলে লিটন (১৮)। লিটনের সাথে ক্যামেরা চালু রেখে সবজির দাম জিজ্ঞেস করায়। খারাপ ব্যবহার করেন। সাথে সাথে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন সাংবাদিক মাসুদ রানা (বিজয়)। পরবর্তীতে তার নিজের দোকানের চাউল কেনার জন্য আল মদিনা নামক চাউলের আড়তে যান। সেখানে বসে থাকা অবস্থায় আলামিন (৪৫), কবির, কবিরের ছেলে লিটন (১৮), রিপন, ফরহাদ ও অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জন একত্রে হয়ে আগের চাঁদাবাজির নিউজের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিক মাসুদ রানা বিজয়ের উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় কাছে থাকা (দোকানের চাউল কেনার জন্য) ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। পরে সাংবাদিকের চিৎকার চেঁচামেচিতে আশেপাশের থাকা লোকজন এসে কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে থাকা কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এবং পা-ভেঙ্গে যাওয়ায় শের-ই-বাংলা নগর সরকারি পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পঙ্গু হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার পা-ভাঙ্গার চিকিৎসা শেষে ঠিকমতো ওষুধ খাওয়া ও ১২ দিন বেডরেস্টে থাকার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে আবার ১২দিন পরে পরীক্ষার জন্য পঙ্গু হাসপাতালে যেতে বলেন। গোপন সূত্রে জানা যায়, আলআমিন(৪৫) ও কবির (৪৫) এই দুইজন প্রকৃত চাঁদাবাজ ও জুয়ারু। দক্ষিণখান বাজার প্রধান সড়ক দখল করে দুইশত দোকান থেকে একশত টাকা হারে দিনপ্রতি চাঁদার টাকা আদায় করেন। কবির(৪৫) ও জুয়েল(৩৫) দক্ষিণখান বাজার রাস্তার পাশে মুরগির দোকান রয়েছে। এদেরকে চাঁদাবাজি ও জুয়ার কাজে কেউ বাধা সৃষ্টি করলে তাদের আশ্রয় দেন দক্ষিণখান থানার এএসআই মো. আব্বাস। রাত দশটার পরে চাঁদা আদায়ের সমস্ত টাকার ভাগ বাটোয়ারা হয় দক্ষিণখান বাজারের একটি নয়া রাজনৈতিক অফিসে। ভাগের টাকা কে কত পান বিস্তারিত আসছে পরবর্তী সংবাদে…