চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার মোহাম্মদ জুমায় পরকিয়া সম্পর্কের জেরে নিজ স্ত্রী মর্জিনা খাতুন (৩৮) কে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (৩১ মার্চ) মধ্য রাত ৩ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এরপরই নিহতের পরিবার ও গ্রামবাসীরা ইব্রাহিমকে আটক করে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন। নিহত মর্জিনা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ জুমা গ্রামের কৌদোপাড়ার ইব্রাহিমের স্ত্রী। তিনি দুই সন্তানের জননী ছিলেন। স্থানীয় ও নিহত পরিবারের দাবী, অভিযুক্ত ইব্রাহিম দীর্ঘদিন যাবত তারই প্রতিবেশী আব্দুর রশিদের স্ত্রীর সাথে পরকিয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। গোপনে চলতে থাকে তাদের অবৈধ মেলামেশা। পরকিয়ার সম্পর্কটি জানাজানি হলে মর্জিনা খাতুনের সঙ্গে স্বামী ইব্রাহিমের দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে ৩ মাস আগে ঐ নারীকে (পরকিয়ার প্রমিকা) তালাক দেন আব্দুর রশিদ। এরই জের ধরে ইব্রাহিম তার স্ত্রী মর্জিনা খাতুনকে গলা টিপে হত্যা করে আঙ্গিনায় ফেলে রাখে। স্থানীয় ইউপি সদস্য নূর ইসলাম বলেন, পরকিয়া সম্পর্কের জের ধরে মর্জিনা খাতুনকে গলা টিপে হত্যা করেছে বলে দাবী করছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। কুতুবপুর পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদুল ইসলাম বলেন, নিহতের পরিবারের দাবী, পরকিয়া সম্পর্কের জের ধরে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ইব্রাহিম তার স্ত্রীকে হত্যা করে। নিহতের গলায় সামান্য একটি আঘাতের আলামত পাওয়া গেছে। মৃত্যুর প্রকৃত করণ জানতে ময়না তদন্ত করা হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, দাম্পত্য কলহের জেরে নিজ স্ত্রীকে হত্যা করেছে বলে মর্মে জানতে পেরেছি। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মরদেহের ময়না তদন্ত করা হবে। আমরা অভিযুক্ত ইব্রাহিমকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছি।