নারায়ণগঞ্জে প্রেমিকাকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এই রায় ঘোষণা করেন। কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বন্দরের ত্রিবেনী এলাকার মো. গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মো. আমজাদ হোসেন (৪৩), হরিবাড়ী এলাকার মৃত আব্দুল মমিনের ছেলে মো. মুন্না ওরফে টুকুন (৩৫) ও বিবি জোড়া পূর্বপাড়া এলাকার ওমর খাঁর ছেলে ফারুক (৩৫)। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা পলাতক ছিলেন। আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. রকিবুদ্দিন আহমেদ রকিব জানান, ২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল ভুক্তভোগী (তরুণী) ছোট বোনের বাসায় যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ ছিলেন। এরপর ২৭ এপ্রিল একটি ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী এলাকার মো. আলম সওদাগর ওই দিনই বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তকালে পুলিশ জানতে পারে, ভুক্তভোগী একটি কারখানায় কাজ করার সময় ফারুকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে ফারুকের সঙ্গে দেখা করতে যান ও দুজন ঘুরতে বের হন। একপর্যায়ে ফারুক তার সহযোগী আমজাদ হোসেন ও মুন্নাকে নিয়ে তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে ডোবায় খড় দিয়ে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে আসামিদের অনুপস্থিতিতে ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আজ এই রায় ঘোষণা করেন। তবে মামলায় প্রাথমিকভাবে ভুক্তভোগীর স্বামীকে আসামি করা হলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনি খালাস পান।