কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খাইরুল আলমের নির্দেশে জুয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। জেলা জুড়ে বিভিন্ন স্পটে জুয়ার আসর উচ্ছেদে কঠোর অবস্থানে কাজ করছে পুলিশ। ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেয়েছে। কুষ্টিয়া সদর থানা, কুমারখালী থানা, খোকসা থানা, দৌলতপুর থানা, ভেড়ামারা থানা ও ইবি থানা সহ বিভিন্ন স্পট থেকে জুয়ায় ব্যবহৃত ক্যারামবোর্ড জব্দ করতে শুরু করেছে পুলিশ। আজ কুমারখালী থেকে ৩৫টি কুষ্টিয়া সদর থেকে ১৩টি, ডিবি পুলিশ ১৫টি জুয়ায় ব্যবহৃত ক্যারামবোর্ড জব্দ করেছে । সাথে ৫ জুয়ারীকে আটক করেছে পুলিশ। জুয়ায় ব্যবহৃত ১০৯৫ টাকা জব্দ করেছে পুলিশ। সাথে তাদের বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে মামলা। আইপিএল খেলায় বিট ধরা ওনলাইন জুয়া খেলা ও অসামাজিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তৎপর রয়েছে কুষ্টিয়া পুলিশ। সেই সাথে সন্ধ্যার পরে চায়ের দোকানে অযথা সময় নষ্ট ও আড্ডা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার। সারাদিন কাজ করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে পরিবারের সাথে সময় দেওয়ার আহবান জানান তিনি। কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন কুষ্টিয়ায় ইদানিং জুয়ার তৎপরতা বেড়েছে যার ফলে পরিবারে অশান্তি, সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে। তাই কুষ্টিয়াবাসীকে বলব কোথাও কোনো রকম জুয়া ও অসামাজিক কার্যক্রম চোখে পড়লে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। পুলিশ আপনাদের পরিচয় গোপন রেখে আপনাদের জন্য কাজ করবে। কুষ্টিয়া জেলা জুড়ে আমার আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে ।আপনাদের একটি সঠিক তথ্যে সমাজে আনতে পারে শান্তি । কমে যেতে পারে বিশৃঙ্খলা। তাই আমি আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। কুষ্টিয়ায় পুলিশ সুপার খাইরুল আলমের এই অভিযানকে কুচ্ছিার সাধারণ জনগণ সাধুবাদ জানিয়েছে। কুষ্টিয়ার সচেতন মহলের সাথে কথা হলে তারা বলেন পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই যে তিনি একটি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কুষ্টিয়ায় এই জুয়ার কারণে অনেক পরিবার আজ নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে। সন্ধ্যা হলেই বিভিন্ন স্পটে জুয়া শুরু হতো সেটা এখন বন্ধ হয়ে যাবে। সমাজে শান্তি ও পরিবারে অশান্তিও কমে যাবে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খাইরুল আলমকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই আমরা।