সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগে স্বামী মো. রাসেল মিয়াকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত স্বামী মো. রাসেল মিয়া জামালগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের সফিক মিয়ার ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জাকির হোসেন এ রায় দেন। আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের রেছনা বেগম এর মেয়ে মনমালা বেগমের বিয়ে হয় মো. রাসেল মিয়ার সাথে। বিবাহের পরে আসামী মোঃ রাসেল মিয়া মহনমালা’কে আসামীর বাড়িতে নিয়ে ঘর সংসার করতে থাকে। ঘর-সংসার করাকালে প্রায়ই আসামী মোঃ রাসেল মিয়া স্ত্রীর নিকট যৌতুক দাবী করে তাকে নির্যাতন করতে থাকেন। এ নিয়ে স্ত্রী মনমালা বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলাও দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর আসামী মোঃ রাসেল মিয়া আর যৌতুক দাবী করবে না ও নির্যাতন করবে না মর্মে অঙ্গীকার করে মনমালাকে আসামীর বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বামী যৌতুক দাবী করে আবারো নির্যাতন শুরু করে। গত ২৮.০৬.২০১৮ইং তারিখ ভিকটিম মহনমালাকে স্বামী ঘর থেকে মৃত উদ্ধার করা হয়। ভিকটিমের গলায় ও ঠোঁটে জখমের চিহ্ন ছিল এবং নাক দিয়ে রক্ত ও মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে থাকে। পরে তার আত্মীয় স্বজন খবর পেয়ে মহনমালার লাশ দেখতে আসামীর বাড়িতে গেলে আসামীগণ পালিয়ে যান। পরে মহনমালার মা বাদী হয়ে জামালগঞ্জ থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘ বিচারকার্য শেষে স্বামী রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় আদালত স্বামী মো রাসেল মিয়াকে মৃত্যুদন্ড দেন। এদিকে, বিশ্বম্ভপুর উপজেলায় এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে পৃথক আরেকটি মামলায় খলিল আহমেদকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯(১) ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয় এবং অতিরিক্ত এক লক্ষ টাকা জরিমানারও আদেশ দেওয়া হয়। জরিমানার টাকা ভিকটিম ক্ষতিপূরণ হিসাবে প্রাপ্ত হবে।