বাগেরহাট ১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন বলেছেন, বিএনপিকে রাজপথে শক্ত হাতে মোকাবেলা করে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে হবে। সে কারণে ঐক্যবদ্ধ থাকলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সামনে কোন অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। মঙ্গলবার খুলনা জেলা ও মহানগর যুবলীগ এর ত্রি- বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ সমস্ত কথা বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, বিএনপি বলেছিল সরকার ১০ জানুয়ারীর পর এ সরকার আর থাকবে না। ১১ জানুয়ারী নাকি চোর তারেক জিয়া বাংলাদেশ এসে দেশ চালাবে। ১০ জানুয়ারী চলে গেছে কোথায় চোরা তারেক, কোথায় বিএনপি।
বক্তব্যের শুরুতে তিনি আবেগ আপ্লুুত হয়ে বলেন, আমি সাধারণত যুবলীগ ও ছাত্রলীগ এর সম্মেলনে আসি না। আজ এখানে এসেছি কারন আমার ভাইপো যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এসেছেন। অতএব এখানে উপস্থিত থাকা আমার দায়িত্ব। ১৫ আগষ্ট আমাদের পরিবারে অনেক রক্ত ঝরেছে এতিম ও হয়েছে অনেকে। এ সময় তিনি আবেগ আপ্লুুত হয়ে আরও বলেন আমার ভাই শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে আজ পরশের মতনই হতো।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা মহানগর ও জেলা যুবলীগের সম্মেলনের উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, যুবলীগকে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ গ্রহন করতে হবে। আগামী নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিজয় নিশ্চিতে, আগুন সন্ত্রাসী, জঙ্গীবাদের মদদ দাতাদের রুখতে আমাদের দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। খুলনা জেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান জামাল এর সভাপতিত্বে ও নগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনর রশীদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হল, এস এম কামাল, হোসেন, খুলনা ২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এ্যাডঃ গ্লোরীয়া ঝর্না সরকার, প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন এ্যাডঃ মাঈনুল হোসেন খান নিখিল, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারী, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, খুলনা ৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয়প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সোহেল উদ্দিন, বাগেরহাট ২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, খুলনা ৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, খুলনা ০৪ আসনের সংসদ সদস্য সালাম মুর্শেদী, বিশেষ বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য রফিকুল ইসলাম রফিক, মৃণাল কান্তি জোয়ার্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডঃ ড. শামীম আল আহসান সোহাগ, নগর যুবলীগের আহবায়ক সফিকুর রহমান পলাশ, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য জি এম গাফফার হোসেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর প্রচার সম্পাদক জয়ে দেব নন্দী, উপ দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার শাহজাদা, উপ গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এ্যাডঃ নবীরুজ্জামান বাবু প্রমুখ। খুলনা মহানগর ও জেলা যুবলীগের ত্রি -বার্ষিল সম্মেলনে মহানগর যুবলীগ এর দ্বিতীয় অধিবেশনে সফিকুর রহমান পলাশ সভাপতি ও শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এরং জেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন চৌধুরী মোঃ রায়হান ফরিদ এবং সাধারণত সম্পাদক নির্বাচিত হন ইঞ্জিঃ মাহাফুজুর রহমান সোহাগ। । মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটায় নগরীর ইউনাইটেড ক্লাবে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের আওয়ামী যুবলীগ এর চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। সভা সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সোহেল উদ্দিন, মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপি, রফিকুল ইসলাম রফিক, মৃণাল কান্তি জোয়ার্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডঃ ড. শামীম আল আহসান সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, উপ দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার শাহজাদা, উপ গ্রন্থনা ও প্রকাশনা নবীরুজ্জামান বাবুসহ কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতৃবৃন্দসহ খুলনা মহানগর যুবলীগের ৫০৯ জন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। সভার সভাপতি তার বক্তব্যের শুরুতে খুলনা মহানগর যুবলীগ এর আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত করেন। তারপর তিনি নগর যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। এ কারনে সংগঠনকে গতিশীল করতে হবে। সভায় সভাপতি পদে সফিকুর রহমান পলাশ এর নাম প্রস্তাব করেন খুলনা মহানগর যুবলীগের কাউন্সিলর এ্যাডঃ আল আমীন উকিল, সমর্থন দেন শেখ মোহাম্মদ আলী। সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন এর নাম প্রস্তাব করেন খুলনা মহানগর যুবলীগের কাউন্সিলর কাজী কামাল হোসেন সমর্থন করেন রোজী ইসলাম নদী। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে অন্যকোন নাম প্রস্তাব না হওয়ায় সভাপতি পদে সফিকুর রহমান পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন নির্বাচিত হন। এদিকে জেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন চৌধুরী মোঃ রায়হান ফরিদ এবং সাধারণত সম্পাদক নির্বাচিত হন ইঞ্জিঃ মাহাফুজুর রহমান সোহাগ।