দক্ষিন আফ্রিকায় অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছেন বগুড়া ধুনটের মিষ্টি রাণী সাহা। সে ধুনট উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের সাহা পাড়ার নিবাসী শ্যামল চন্দ্র সাহা ও রত্নগর্ভা মাতা পলি রানী সাহার উদ্যোমী কণ্যা। বাবার আগ্রহে ছোট বেলা থেকেই নিজ বাড়িতে খেলাধুলা করতো। বুক ভরা আশা আর দুচোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে খেলায় অনুপ্রেরণার যোগাতেন তার বাবা। সে উপজেলার সাতানী খাদুলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে পঞ্চম শ্রেণী ও মুলতানি পারভীন শাহজাহান আলী তালুকদার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮ম শ্রেণী পাস করার পর বগুড়ার জনৈক মোসলেম উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে ২০১৫ সালে জানুয়ারী মাসে বিকেএসপিতে চান্স পায়। পরবর্তিতে বিকেএসপি থেকে এসএসসি ও এইচ এস,সি পাস শেষে অনার্স প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত আছে। তার স্বপ্নবাজ বাবা ২০২১ সালের ১লা ফেব্রুয়ারী পরলোগ গমন করেন। দক্ষিন আফ্রিকায় অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার জন্য মিষ্টি রাণী সাহা সহ ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। তিনি ডান হাতে ওপেনার ব্যাটম্যান হিসেবে খেলতে পছন্দ করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিতব্য অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বিসিবির ঘোষিত ১৫ সদস্যের দল দলটি ১লা জানুয়ারী ২০২৩ এ জোহানেসবার্গের উদ্দেশ্যে রওনা হবে বলে জানা যায়৷ গন্তব্যে পৌঁছানোর পরে, বাংলাদেশ একটি প্রাক-ইভেন্ট ক্যাম্প করবে এবং টি-টুয়েন্টি শুরুর আগে কয়েকটি অনুশীলন ম্যাচ খেলবে৷
বিসিবি মহিলা উইং নির্বাচক মঞ্জুরুল ইসলাম স্কোয়াড ঘোষণার পর জানান, দলটিতে একটি ভাল ঐক্য থাকার কারনে নির্বাচিত খেলোয়াড়দের দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশেষ কিছু করার ক্ষমতা রয়েছে। দলটি মহিলাদের জন্য প্রথম অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও আত্মবিশ্বাসী হবে বলে মনে করেন। ১৫ সদস্যর স্কোয়াড বা দলে অধিনায়ক হিসেবে দিশা বিশ্বাস, ভাইস ক্যাপটেন হিসেবে ঝর্ণা আক্তার এবং সহযোগী খেলোয়াড় হিসেবে রাবেয়া, মারুফা আক্তার, দিলারা আক্তার, মিস্টি রানী সাহা, রিয়া আক্তার শিখা, সুমাইয়া আক্তার, আফিয়া হুমাইরা, মিস উন্নতি আক্তার, মিস দীপা খাতুন, লেকি চাকমা, আসরাফি ইয়াসমিন অর্থি, জান্নাতুল মাওয়া, মিস ইভা। অতিরিক্ত খেলোয়ার হিসেবে অপেক্ষারত থাকবে সুবর্ণ কর্মকার, নিশিতা আক্তার নিশি, রাবেয়া খাতুন, আনাম প্রত্যাশা, জুয়াইরিয়া ফেরদৌস।
এ বিষয়ে মথুরাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ জেমস মল্লিক বলেন, গ্রামের মেয়ে হয়ে সামাজিক বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে মিস্টি রানী সাহা পরিবারের সাথে অত্র এলাকার ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে, আমি ব্যাক্তিগত ভাবে তার পাশে থাকবো এবং এরকম প্রতিভা প্রষ্ফুটিত হতে সহায়তা করবো ।