আগামী ২৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। প্রচার ও প্রসারে যেন কমতি নাই আগ্রহী প্রার্থীদের। রঙ্গীন পোষ্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে উপজেলার সর্ব্বত্রই। এছাড়া প্রার্থীদের পক্ষে দিনরাত চলছে মাইক দিয়ে প্রচার-প্রচারনা। কেউ কারো চেয়ে কম না। কেউ পিছিয়ে নাই। দেখে মনে হয় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের প্রচারনা চালানো হচ্ছে এ সব প্রার্থীদের পক্ষে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উপজেলা সকল হাট বাজার চায়ের দোকানে আলোচনার কোন প্রকার কমতি নাই। সম্মেলনের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই আলোচনার ঝড় বইছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক হচ্ছেন কারা। কেমন হবে এবারের উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি। উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি নিয়ে উপজেলাবাসীর আগ্রহের কমতি নেই। এই বারের সম্মেলনকে তৃণমুল নেতাকর্মীরা ভিন্নমাত্রায় দেখছেন। কারণ নবগঠিত কমিটি আগামী সংসদ নির্বাচনে উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে নেতৃত্ব দেবেন । আর সেই কারণে নতুন কমিটির বিষয় অনেক হিসাব নিকাশ করছেন তৃণমুল পর্যায়ের নেতাকর্মী থেকে সাধারন মানুষ পযর্ন্ত। মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা চায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক হবেন সবচেয়ে বেশী গ্রহণ যোগ্য ব্যাক্তিরা । তৃণমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষন। দুই পদের জন্যই আগ্রহী প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় নেতাসহ কাশিয়ানীর নির্বাচনী এলাকার দুই প্রেসিডিয়াম সদস্য সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য সাংসদ মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি’র কাছে দৌড়ঝাপ করছেন। সেই সাথে তারা উপজেলা ১৪টি ইউনিয়নের তৃণমুল নেতাকর্মীদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। নব-গঠিত কমিটির নেতৃত্বে এ উপজেলার সকল পেশা শ্রেণীর মানুষ আগামী সংসদ নির্বাচনে পূর্বের সকল নির্বাচনের চেয়ে বেশী ভোটে নৌকা প্রতীক কে বিজয়ী করবে এমনটি আশা করছেন স্থানীয়রা । যে কারণে তারা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ দুইটিকে বেশী গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন। আসন্ন সম্মেলনে সভাপতি হিসাবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে এবং যারা দৌড়ঝাপ করছেন তারা হলেন,বর্তমান সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. মোক্তার হোসেন,সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামচুন্নাহার মিনাজ্জামান, পুইসুর ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান মোল্যা আলী উজ্জামান পান্না। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ইতিমধ্যে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাজাইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী জাহাঙ্গীর আলম, বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জিএস,ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের সভাপতি শারাফত হোসেন লাভলু, মহেশপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো.লুৎফর রহমান লুথু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. খারুজ্জামান খায়ের,বর্তমান প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রভাষক মো. মফিজুর রহমান, সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম পিকুল। ইতিমধ্যে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। উপজেলা চত্ত্বরে প্রস্তুত করা হয়েছে মঞ্চ এবং প্যান্ডেল। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.মোক্তার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর আলম জানান, সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভাবেই সম্মেলন শেষ হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মেহেদী হাসান জানান, সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতারা আসবেন। যাতে নির্বিঘ্নে শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্মেলন শেষ হয় আমাদের প্রসাশনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কাশিয়ানী থানার ওসি তদন্ত মো.ফিরোজ আলম জানান, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। সম্মেলন শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে থেকে সকল প্রকার ব্যাবস্থই গ্রহণ করা হবে।