মুন্সীগঞ্জে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ যুবদল নেতা শাওন ঢাকা মেডিকেলে গতকাল মারা গেছেন। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে সদর উপজেলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের পর রাতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।
বিএনপি বলেছে, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ রাতভর চিরুনি অভিযান চালিয়ে ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় ১ হাজার ৩৬৫ জনকে আসামি করে দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এর মধ্যেই সাবেক যুবদল নেতার সুতার কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। বুধবার শেষরাতে উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নে জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মো. নিজামুদ্দিনের সুতার কারখানায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
এতে সুতা, সুতার কাঁচামালসহ ৭০-৮০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি কারখানা মালিকের। এর আগে তিন পুলিশ সদস্য ও দলীয় অনুসারীদের সঙ্গে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কারখানায় লুটপাট চালিয়েছেন বলে দাবি করেন নিজামুদ্দিন। যুবদল নেতা নিজাম জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল হাইয়ের ভাগনে। অগ্নিকাণ্ডে কারখানার পাশের আরও পাঁচটি ঘর ভস্মীভূত হয়েছে।
নিজামুদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, ইউপি চেয়ারম্যান বুধবারের সংঘর্ষের জেরে রাতে তিন পুলিশ সদস্যকে নিয়ে তাঁর কারখানায় ঢুকেছিলেন। সেখান থেকে কিছু সরঞ্জাম লুট করার পর তাঁরা বেরোনোর আগে আগুন ধরিয়ে দেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, আগুন দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। পুলিশের পরামর্শে তাঁরা ‘সব ধরনের ঝামেলা’ থেকে দূরে রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘পুলিশের ওপর বুধবারের হামলায় আমরা চিন্তিত। তবে আগুন দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে আছি। দলীয় কার্যালয়ে বসে আলোচনার মাধ্যমে আমাদের পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। ’ মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব এ প্রসঙ্গে বলেন, বিএনপি নেতার কারখানায় আগুন দেওয়ার সময় কোনো পুলিশ সদস্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। কারা আগুন দিয়েছে বিষয়টিও জানা নেই। ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলে তদন্ত করা হবে। ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বুধবারের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা না হলেও মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বিএনপির ২৫ কর্মীকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।