পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জনসভাস্থলে দুটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ওয়াচ টাওয়ার বসানো হয়েছে। যা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ব্যবহার হচ্ছে। ওয়াচ টাওয়ার দুটি সম্প্রতি আমেরিকা থেকে আনা হয়েছে। ’
শুক্রবার (২৪ জুন) মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘পদ্মা সেতু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় আলোড়ন তুলেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি অর্জন হয়েছে। সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে দেশব্যাপী উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করছি, আগামীকাল এখানে কমপক্ষে ১০ লাখ লোকের সমাগম হবে। তার বেশিও হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্মূল্যায়ন করছি এবং প্রতি মুহূর্তে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। আমাদের সঙ্গে গোয়েন্দা সমন্বয় রয়েছে। আশা করছি, দেশবাসীর সমর্থন নিয়ে আগামীকালের ঐতিহাসিক এই মুহূর্তকে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করতে পারবো।’
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘সেতু মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা কমিটি এখানে কাজ করছে। আমরা সর্বশেষ নিরাপত্তা পরিস্থিতি দেখতে এসেছি। জনসভাস্থলে যাওয়া আসা পথ কেমন হবে, গাড়ি পার্কিং কেমন হবে এসব বিষয় পরামর্শ দিয়েছি। নির্দেশনা ও বিধিনিষেধ মানলে সবার জন্য জনসভাস্থলে আসা সুবিধা হবে। এ ছাড়াও রাস্তায় সাইন পোস্টিং দেওয়া আছে। যারা কখনো এখানে আসেননি তারাও খুব সহজে জনসভাস্থলে প্রবেশ করতে পারবেন।’
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা ঘিরে পুলিশের কাছে কোনো থ্রেট (হুমকি) নেই জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘যদি কোনো থ্রেট থাকে তা আমরা মিটিগেশন (হ্রাস করা) করবো। আমাদের সঙ্গে সবার ক্রমাগত গোয়েন্দা সমন্বয় আছে। এ ছাড়াও ঐতিহাসিক এই জনসভা ঘিরে প্রতিটি স্থানে আলাদা সিকিউরিটি ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে জেলা পুলিশ, নৌপুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ আলাদাভাবে কাজ করছে। জনসভা শেষ হওয়া না পর্যন্ত আমরা এখানে থাকবো।’
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘জনসভাস্থলে লাখো মানুষের সমাগম হবে। সম্প্রতি দেখতে পেয়েছি, সারা দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে যারা জনসভাস্থলে আসবেন করোনার যে নিরাপত্তা ও বিধিনিষেধ রয়েছে সেগুলো সবাইকে মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) লিমন রায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবচর (সার্কেল) আনিসুর রহমান, শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মিরাজ হোসেনসহ প্রমুখ।