আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আওয়ামী লীগের জনসমর্থন আছে। বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার শক্তি আমাদের রয়েছে। আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে বিএনপি পাত্তা পাবে না।
বৃহস্পতিবার নাটোরের সদর উপজেলার খোলাবাড়িয়া ঔষধি গ্রাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিসহ বিভিন্ন ছোট ছোট রাজনৈতিক দল আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে তারা হুমকি দিয়ে আসছে, শুধু হুমকির মধ্যেই তারা আছে। বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার জন্য আওয়ামী লীগ একাই যথেষ্ট।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়। দেশকে পিছনে নিয়ে যেতে চায়। আর বিএনপির আন্দোলন মোকাবিলা করে দেশকে আরো সামনের দিকে নিয়ে যেতে চায় আওয়ামী লীগ। বর্তমান সরকার বৈধ ও সাংবিধানিক সরকার। এ সরকারের দায়িত্ব হলো সকল মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। কাজেই, আন্দোলন সংগ্রামের নামে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যমূলক কর্মকাণ্ড বিএনপিকে করতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেন। এসব উন্নয়নমূলক কাজের জন্যই দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনবে। অন্যদিকে বিএনপি আর কোনোদিন মানুষের নিকট গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।
এর আগে মন্ত্রী ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরার মাঠ পরিদর্শন ও কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। খোলাবাড়িয়া গ্রামে প্রায় ৪৫০০ কৃষক ঘৃতকুমারীসহ বিভিন্ন ঔষধি ফসল চাষ করছেন। ঔষধি ফসল চাষের সুরক্ষা ও বিকাশে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তারা।
কৃষিমন্ত্রী এ সময় বলেন, কৃষিকে লাভজনক ও বাণিজ্যিক করতে কাজ করছি। সেজন্য প্রচলিত ফসলের পাশাপাশি কৃষকদেরকে অপ্রচলিত অর্থকরী ফসল চাষেও উৎসাহ ও প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। দেশে ও আন্তর্জাতিক বাজারে এই অ্যালোভেরার অনেক চাহিদা রয়েছে। খোলাবাড়িয়া গ্রামে অ্যালোভেরাসহ বিভিন্ন ঔষধি ফসল চাষ হচ্ছে। এর চাষ সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া ও সুষ্ঠু বাজারজাতে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।
পরিদর্শনকালে নাটোর-২ আসনের এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-১ আসনের এমপি শহিদুল ইসলাম বকুল, এমপি রত্না আহমেদ, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এমপি উম্মে কুলসুম স্মৃতি, হোসনে আরা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।