রাজধানীর রামপুরায় বাস দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহতের জেরে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাত কয়েকশ’ ‘উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র ও জনতা’র নামে মামলা হয়েছে।
বুধবার হাতিরঝিল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলাটি করে। ওই থানার এসআই এ কে এম নিয়াজউদ্দিন মোল্লা মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর রামপুরা ডিআইটি সড়কে মোল্লা টাওয়ারের সামনে ‘উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র ও জনতা’ বেআইনিভাবে সমাবেশ ঘটায়। এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সড়কে চলমান গাড়ি ভাঙচুর ও পেট্রলবোমা দিয়ে গাড়িতে আগুন এবং পথচারীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মারধর করে।
এর আগে মাইনুদ্দিন ইসলামের মা রাশেদা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এছাড়া গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। এ মামলায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মামলা দুটির কথা নিশ্চিত করেন রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।
ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, নিহত শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিনের মা রাশেদা বেগম বাদী হয়ে নিরাপদ সড়ক আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলায় অনাবিল পরিবহনের বাসচালককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। উত্তেজিত জনতার পিটুনিতে আহত হওয়ায় তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসাধীন। চালকের নাম সোহেল বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ।
সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরা টিভি রোডের পলাশবাগ এলাকায় বাসচাপায় নিহত হয় মাইনুদ্দিন। সে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ফলাফলের অপেক্ষায় ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাইনুদ্দিন তার ভগ্নিপতি সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে রাস্তা পার হচ্ছিল। এ সময় অনাবিল পরিবহনের একটি বাস আরেক পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে মাইনুদ্দিনকে চাপা দেয়। এতে সে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। মাইনুদ্দিন নিহত হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ জনতা নয়টি বাস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় আরো তিনটি বাস ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন বাসচালককে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।