আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শেখ রাসেলের মতো কোনো মৃত্যু আর দেখতে চাই না। তার মতো আর কোনো প্রতিভাকে জোর করে নেভানোর সুযোগ দেওয়া যাবে না।
সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘শেখ রাসেল দিবস’ উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত কনসার্ট ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘদিন বিচারের বাণী নিভৃতে কেঁদেছে। এ হত্যাকাণ্ডের যাতে বিচার না হয় সেজন্য খুনির দল ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ নামক কুখ্যাত কালো আইন জারি করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে এ কালো আইন বাতিল করে সাধারণ আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু করেছিলেন। কিন্তু এ বিচারের পথ মোটেই মসৃণ ছিল না। হাইকোর্টের সাতজন বিচারপতি আপিল শুনতে বিব্রতবোধ করেছিলেন।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান খুনিদের বাঁচাতে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে নিয়োগ দিয়েছিল। যে কারণে এখনো কয়েকজন খুনির মৃতুদণ্ড কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। তবে খুনিরা যেখানেই পালিয়ে থাক তাদের দেশে এনে আদালতের রায় অবশ্যই কার্যকর করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, শেখ রাসেল তার স্বল্প জীবনে অনেক কিছুই রেখে গেছেন যা সত্যিই অনুকরণীয় ও অনুপ্রেরণাদায়ক।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত বক্তৃতা করেন।