মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে আরো ৮ হাজার ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু কমেছে প্রায় ৩০০। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪১ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৬ জনে।
একই সময়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৬৪৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৭২ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৪৩ লাখ ৬৭ হাজার ৫২৭ জনে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে রোববার সকাল ৮টার দিকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ায়। এ সময়ে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৪১৫ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ হাজার ৪১৬ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩১ লাখ ২৭ হাজার ৮২৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৮২ হাজার ১৩ জনের।

করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৫১ লাখ ৮৪ হাজার ৬২৮ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ২৬ হাজার ৭১১ জন মারা গেছেন।

আর লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৮০ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৯১ জন।

প্রতিবেশী দেশ ভারত আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় ও মৃতের সংখ্যার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৪২ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ২৮৪ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৪৮৬ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ২০ হাজার ৫৮৫ জন।

এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১১ হাজার ৬১৬ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৫৩ হাজার ৯৫ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৯ হাজার ১৩০ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৭ হাজার ৯৪২ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৯৫৪ জন মারা গেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।