প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ইউনিয়নে জেলেদের মাঝে সরকারি চাল বিতরণে নয়ছয় করার অভিযাগ পাওয়া গেছে। জনপ্রতি জেলেদের ৬ কেজি করে চাল কম দেওয়ায় জেলেদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এতে জেলেরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। পরে জেলেরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সাংবাদিকদের অবহিত করেন। সোমবার সকালে টেকনাফের সেন্টমার্টিন ইউনিয়নে ৬, ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচয়পত্রধারী জেলেদের মাঝে চাল বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
জানা গেছে, সম্প্রতি সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। জেলে সম্প্রদায় অন্নহীন হয়ে পড়েছে। এরই প্রেক্ষিতে সরকারি ভিজিএফ হিসেবে যা চাল দেয়া হচ্ছে তাও অপ্রতূল। সেখান থেকেও চাল বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে বরাদ্দকৃত চাউল কম দেয়া হচ্ছে।
বেশ কয়েকজন জেলের সাথে কথা বলে জানা যায়, সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার বন্ধ রয়েছে। সেন্টমার্টিনের মাছ শিকারিদের সরকারি তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এসব তালিকাভুক্তদের সরকারিভাবে চাল দিয়ে থাকে। প্রতিজন পরিচয়পত্রধারীকে ৫৬ কেজি করে চাউল পাওয়ার কথা থাকলেও তাদের দেয়া হয়েছে ৫০ কেজি করে।
সেন্টমার্টিন ২ নং ওয়ার্ডের জেলে মো. জুবাইর জানান, দুই মাস পর্যন্ত সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রেখেছে সরকার। সে হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে চাউল দেয়া হচ্ছে। ৫৬ কেজি করে চাউল দেয়ার কথা থাকলেও ৫০ কেজি চাউল পেয়েছেন বলেও জানান তিনি।
১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবু সাঈদ জানান, এমন দুরাবস্থায় চাউল বিতরণেও অনিয়মের আশ্রয় নেন চেয়ারম্যান নুর আহমদ। ৫০ কেজি চাউল পাওয়ার কথাও জানান তিনি। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফরিদ আলম জানান, চেয়ারম্যানের লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে। যার কারণে বাকি চাউল রেখে দেয়া হচ্ছে। চাউল বিতরণের এখতিয়ার সম্পূর্ণ চেয়ারম্যানের।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বাকি ছয় কেজি চাউল সিদ্ধ হওয়ায় জেলেরা না নেওয়ায় রেখে দেয়া হয়েছে। এ দিকে টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ৫৬ কেজি করে ভিজিএফ চাউল পাওয়ার কথা রয়েছে। জেলেরা কম পাওয়ার ক্ষেত্রে সেন্টমার্টিন থেকে বেশ কয়েকজন অভিযোগও করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. পারভেজ চৌধুরী জানান, সাগরে মাছ শিকার বন্ধ রয়েছে। সে হিসেবে সরকার মানবিক চিন্তা করে জেলেদের বিশেষ বরাদ্দ হিসেবে চাউল দেয়া হচ্ছে। কম দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’