উপহারের ঘর নির্মাণে অবহেলা সহ্য করা হবে না, বলেছেন আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুব হোসেন।
মুন্সীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণ কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে তদন্তে নেমেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একাধিক টিম।
এরই অংশ হিসাবে শুক্রবার (৯ জুলাই) আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুব হোসেনের নেতৃত্বে মুন্সীগঞ্জ সদরের কালিরচর এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজের পরিদর্শন করে একটি টিম। পরে এবিষয়ে প্রেসব্রিফিং করেন প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুব হোসেন।
এসময় তিনি বলেন বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঘর নির্মাণ কাজে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স রয়েছে। বর্তমান করোনাকালীন সময়ে ১ লাখ ১৮হাজার ৩শ ৮০টি ঘর নির্মাণ কম কথা নয়। সকল জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে আমরা মাঠে আছি তোমরাও মাঠে থাকো। যাতে কোন জায়গায় কোন ত্রুটি বিচ্যুতি না থাকে। কোথাও তা পাওয়া গেলে যেনো সংশোধন করা হয়। এটি প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্প, স্বপ্নের প্রকল্প। একটি গরিব লোক যিনি ঘর পাচ্ছেন, তারতো স্বপ্নের শুরু মাত্র। তাই এই কাজে কোন অবহেলা করা হবে না, অবহেলা সহ্যও করা হবে না।
এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রকল্প পরিচালক মো.মাহবুব হোসেন বলেন, আপনাদের তথ্য দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। কারণ আপনাদের থেকে প্রাপ্ত তথ্য আমি লিখি ও তদন্তে পাঠাই৷ তাই তথ্য দেওয়ার বেলায় যেনো সঠিক তথ্যটি দেওয়া হয়।
পরিদর্শনকালে প্রকল্প পরিচালক মো.মাহবুব হোসেনের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের-২এর উপ-পরিচালক মো. জাহেদুর রহমান, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজি নাহিদ রসূল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দীপক কুমার রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হামিদুর রহমান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, মুন্সীগঞ্জ সদরের কালিরচরে প্রধানমন্ত্রী উপহারের ২০০টি ঘর নির্মাণ কাজ চলছে। সম্প্রতি এ নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠে। এ অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এরমধ্যেই মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এসিল্যান্ডসহ কয়েকজন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়।