মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে ৭ হাজার ৯৩০ জন মারা গেছেন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু বেড়েছে প্রায় ২ হাজার। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৪০ লাখ ৮ হাজার ৬১৩ জনে পৌঁছেছে।
একই সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৫৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৮৯ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৮ কোটি ৫৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে বুধবার সকাল ৮টার দিকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৬ লাখ ১৮ হাজার ৯৭৩ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ২১ হাজার ৬০৩ জন মারা গেছেন।
আর লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৭৮৭ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬২ হাজার ৫০৪ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৮৮ লাখ ৫৫ হাজার ১৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ২৭ হাজার ১৬ জনের।
প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্তের তালিকায় ভারত দ্বিতীয় অবস্থানে। তবে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৩০ জন এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৯৫৭ জন। এতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৬ লাখ ৬২ হাজার ৮৯৬ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৪ হাজার ২৪০ জন।
এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১১ হাজার ২৩১ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৩৯ হাজার ৩১৬ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৮ হাজার ২৬৮ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৭ হাজার ৭০৪ জন মারা গেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।