ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলা নারগুন ইউনিয়নে খেজুরের গুড় তৈরিতে গাছীরা শীত মৌসুমের শুরুতে এবার করোনায় মহা ভাইরাস কারনে খেজুররস বেচার চাহিদা না থাকায় খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন রাজশাহীর বাঘা থানা থেকে আসা ৮ জন গাছীর এই মৌসুমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গুড় উৎপাদন ও বিপণনের সাথে যুক্ত ঐ এলাকার কিছু মানুষ। উৎপাদিত গুড় ব্যবসায়ীদের হাত ঘুরে পরিবহনের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন হাটে বাজারে ঠাকুরগাঁও জেলার নানা প্রান্তে পৌঁছানো হয়ে থাকে। আবহমান গ্রাম বাংলায় শীতের সকালের সূর্য্য মিটমিট করে আলো ছড়ানোর আগেই গাছীরা বেরিয়ে পড়ছেন খেজুরের রস সংগ্রহে। এরপর সংগৃহীত রস তাপ দিয়ে শুরু হয় গুড় তৈরির প্রক্রিয়া। সুস্বাদু পাটালি ও লালি গুড় বিক্রি করে চাঙ্গা এখন গ্রামীন অর্থনীতির চাকা। শীতের এই মৌসুমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গুড় উৎপাদন ও বিপণনের সাথে জড়িয়ে পড়ে এই এলাকার কিছু মানুষ। ঋতুর পালাবদলে ঠাকুরগাঁও জেলার সদর শিবগঞ্জ,খোঁচাবাড়ী হাটগড়েয়া হাট পীরগঞ্জে উপজেলার এমন দৃশ্য দেখা গেছে। এদিকে, ভাল দাম পেতে গাছীরা উৎপাদিত গুড়ে আর্কষণীয় করে তুলছে। চকচকে না হলে দামটা কমই হয় বলে জানান বিক্রেতা। কিন্তু আমরা কোন কিছুই ভেজাল করি না। একথা বলেন সুজন,সাইফুর,মজিদ ও রবিউল হোসেনসহ অনেকে। হাটের দিন স্থানীয় মোকামে এসব গুড় পাইকারি লালি গুর ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং ঢিকা গুর ১০০ টাকা দরে বিক্রি করেন গাছীরা। এরপর ব্যবসায়ীদের হাত ঘুরে বিভিন্ন হাটে বাজারে বিভিন্ন প্রান্তে চলে যায় উৎপাদিত এসব অঞ্চলের গুড় ও পাটালি। আমরা সরেজমিনে গিয়ে দেখি , নারগুন ইউনিয়নে লালা পুকুর ইখু ফার্মে প্রায় ৫০০ খেজুর গাছ আছে এই বাগানে।