দেশের দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট। হঠাৎ পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি ও তীব্রস্্েরাত দেখা দেওয়ায় দৌলতদিয়ার ২নং ফেরি ঘাটের ২শ’ মিটার এলাকা নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত বছর বর্ষা মৌসুমে পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে যায় দৌলতদিয়ার ১ ও ২ নম্বর ফেরিঘাট সেই থেকে বন্ধ রয়েছে ওই ঘাট দুটি। তৃতীয় দফা হুমকির মুখে পড়েছে ৩ নং ফেরি ঘাট। এমনকি ঘাট সংলগ্ন গড়ে উঠা গ্রামের ২ শতাধিক পরিবার ভাঙ্গন আতংকে রয়েছেন। সরেজমিন দেখা যায়, দৌলতদিয়ার লঞ্চ ঘাট থেকে ৩ নং ফেরি ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৫শ’৫০ মিটার এলাকার বিভিন্ন স্থানে আংশিক ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ২ নং ফেরি ঘাট থেকে ৩ নং ফেরি ঘাটের মাঝে প্রায় ২০০ মিটার এলাকার কয়েক স্থানে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কারণে ৩ নং ফেরি ঘাটটি হুমকিতে পড়েছে। ভাঙন থেকে মাত্র ১শ’ মিটার দূরে ৩ নং ঘাট দিয়ে ফেরিতে যানবাহন ওঠানামা করছে। দ্রুত ভাঙন ঠেকানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ৩ নং ঘাটটিও চরম ঝুঁকির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া ১নং ফেরি ঘাট সংলগ্ন মজিদ শেখের পাড়া, ২ ও ৩ নং ফেরি ঘাট সংলগ্ন সিদ্দিক কাজী পাড়ার বাসিন্দাদের মাঝেও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সিদ্দিক কাজী পাড়ার বাসিন্দা জামাল বেপারী বলেন, গত বছর ১ নম্বর ফেরিঘাট মজিদ শেখের পাড়ায় আমার বাড়ি ছিলো। গত বছর নদী ভাঙনে ভিটেমাটি বিলীন হয়ে যাওয়ায় সেখান থেকে এসে দৌলতদিয়ার ২ও ৩ নং ফেরি ঘাটের মাঝে এসে বাড়ী করি। এবার আবার এখানে নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় কোথায় যাব তা ভেবে পাচ্ছি না। এ নিয়ে এখানকার প্রায় ১শতাধিক পরিবার বাড়তি দুশ্চিন্তায় আছি। স্থানীয় ২নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন, লঞ্চ ঘাট থেকে ৩ নং ফেরিঘাট পর্যন্ত প্রতি বছর ভাঙন দেখা দেয়। এবারও লঞ্চ ঘাট থেকে ১ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার মজিদ শেখের পাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার এবং ২ও ৩ নং ফেরি ঘাট এলাকার সিদ্দিক কাজী পাড়াসহ প্রায় শতাধিক পরিবার ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে বড় ধরনের বিপর্যয় হতে পারে। বিআইডব্লিউটিএর সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহ-আলম বলেন, এ পর্যন্ত লঞ্চঘাট থেকে ৬ নম্বর ফেরিঘাট পর্যন্ত বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। বন্যা পরবর্তী সময়ে লঞ্চঘাট থেকে ৩ নং ফেরিঘাট পর্যন্ত প্রায় ৫৫০ মিটার এলাকার বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ২০০ মিটার এলাকা জুড়ে ঝুকি পূর্ণভাঙন দেখা দেওয়ায় জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে উর্দ্বোতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পেলেই কাজ শুরু করা হবে।