লক্ষ্মীপুর-২ আসনের (রায়পুর সদরের একাংশ) স্বতন্ত্র এমপি কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলকাণ্ডে লক্ষ্মীপুরের আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের চার নেতাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
স্থানীয় নেতাদের বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে পাপুল এমপি হওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চার নেতাকে তলব করে চিঠি দিয়েছেন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক সালাহ উদ্দিন।
জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন ও রায়পুর পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কাজী মো. জামশেদ বাকী বিল্লাহর মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা রয়েছে।
অন্যদিকে, বুধবার একই কার্যালয়ে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু এবং জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য শাখায়াত হোসেন আরিফকে তলব করা হয়েছে।
জানা গেছে, পাপুলের অনুপস্থিতিতে এলাকায় তার পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রফিকুল হায়দার বাবুল পাঠান। তিনি পাপুলের টেন্ডার বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, স্থানীয় সালিশসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
অর্থ ও মানব পাচারের অভিযোগে ৬ জুন কুয়েতে এমপি পাপুল গ্রেফতার হন। বিভিন্ন ব্যাংকে তার হিসাবের ১৩৮ কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে। অভিযোগ, বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাকে সহযোগিতা করেছেন জেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতারা।