আসন্ন রমজান উপলক্ষে চিনি, তেল ও ছোলার পর্যাপ্ত মজুদ আছে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, এবার মাহে রমজানে ঘাটতি হওয়ার সুযোগ নেই। জিনিসপত্রের দাম বাড়বে না।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।
এইচ এম সফিউজ্জামান বলেন, এবার রমজানে কোনো বাজারে কোনো অস্থিরতা তৈরি হলে বাজার কমিটিকে দায়বদ্ধ করব। পণ্যের কোনো ঘাতটি নেই, উৎপাদনে ঘাটতি নেই, কিন্তু বাজারে সংকট তৈরি হবে কেন?
ভোক্তা অধিদফতরের শীর্ষ এই কর্মকর্তা জানান, এবার বাজার মনিটরিংয়ে আমাদের ৫০টি টিম কাজ করবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ৪টিম কাজ করবে। এছাড়াও দোকান মালিক সমিতি, বাজার কমিটিও মনিটরিং করবে।
মন্ত্রণালয়ের এই সিনিয়র সচিব বলেন, আমাদের সঠিক বাজার অর্থনীতির মাধ্যমে কাজ করতে হবে। দাম নির্ধারণ করে বাস্তবায়ন করা অনেক কঠিন। ১৭ কোটি মানুষের লাখ লাখ ব্যবসায়ী। সবাইকে যার যার দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা যে প্রাইস নির্ধারণ করে দেব, সেটা মানতে হবে।
গরুর মাংস ও ডিম আমদানি ওপেন করে দিলে এসবের দাম কমবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিন্তু বৃহৎ স্বার্থে এসব আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে। এখন যদি গরু আমদানি করা হয় তবে খামারিরা বিপদে পরবে। লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই বিষয়গুলাও দেখতে হবে।
সভায় অন্যদের মধ্যে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, অস্বাভাবিক কিছু কাজের জন্য সবাইকে ব্লেম নিতে হয়। দুই-একজন অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য সবার সুনাম নষ্ট হয়।
এছাড়া কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বাজারে যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে সেটা বন্ধ করতে হবে। এ জন্য প্রতিযোগিতা কমিশনকে আরও সোচ্চার হতে হবে। বাজারে যদি সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকে তবে পণ্যের মান ভালো হয়। ব্যবসায়ী-বিক্রেতা-ভোক্তা সবাই লাভবান হয়।
গোলাম রহমান বলেন, আমাদের ভোক্তাদের একটা সমস্যা হলো রমজান বা কোনো ক্রাইসিস সময় হলে একসঙ্গে অনেক জিনিস কিনে রাখে। অনেক সময় অপচয়ও করে। এতে বাজার আরও সংকটের মধ্যে পড়ে যায়। এই জিনিসটা বন্ধ করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় বাজার মালিক সমিতি ছাড়াও দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, রিফাইনার কোম্পানির প্রতিনিধিসহ ভোক্তা প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।