কক্সবাজারের টেকনাফে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় ডিবি পুলিশের বহিষ্কৃত সাত সদস্যকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডিতরা হলেন- কক্সবাজার জেলা ডিবি পুলিশের বহিষ্কৃত এসআই মো. আবুল কালাম আজাদ, এসআই মো. মনিরুজ্জামান, এএসআই মো. গোলাম মোস্তফা, এএসআই মো. ফিরোজ, এএসআই আলাউদ্দিন, কনস্টেবল মোস্তফা আজম ও কনস্টেবল আল আমিন।
মামলার বিবরণ দিয়ে আদালতের পিপি ফরিদুল আলম ফরিদ জানান, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর কক্সবাজার শহরের আল গণি হোটেলের সামনে থেকে টেকনাফের ব্যবসায়ী আব্দুল গফুরকে অপহরণ করেন ডিবি পুলিশের ওই সাত সদস্য। এরপর ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার স্বজনদের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। দেনদরবারের পর ১৭ লাখ টাকা দিতে রাজি হন গফুরের স্বজনরা। টাকা পৌঁছে দেওয়া হলে পরদিন ভোরে তাকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এরপর বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জানান গফুরের স্বজনরা। পরে মুক্তিপণ আদায়কারী ডিবি পুলিশের সদস্যরা মাইক্রোবাসে মেরিন ড্রাইভ সড়কে এলে তল্লাশি চালিয়ে ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ সময় এসআই মনিরুজ্জামান পালিয়ে গেলেও বাকি ছয়জনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় অপহরণকারী সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ব্যবসায়ী আব্দুল গফুর। মামলার পর সাতজনকেই বহিষ্কার করা হয়।