খুলনা সদর থানাধীন নগরীর ডাকবাংলা মোড়ের লাভলু হোটেলে খুলনা জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এ সময়ে তিনি বিভিন্ন অভিযোগে ভিত্তিতে ভয়ভীতি দেখিয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারের নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে। পরবর্তীতে ম্যানেজার হোটেল মালিককে জরিমানার বিষয়টি অবগত করলে হোটেল মালিক তাৎক্ষণিকভাবে খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যোগাযোগ করে জানতে পারেন যে, ঘটনার দিন ৮ জুন ডাকবাংলা মোড় এলাকায় খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের পক্ষ থেকে কোন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়নি। পরবর্তীতে উক্ত প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি চৌকস টিম ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসি টিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীকে সনাক্তপূর্বক গ্রেফতারের জন্য খুলনা মহানগরীসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ জুন গভীর রাতে খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন বৈকালী এলাকায় অভিযান পরিচলনা করে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট এম সোহেল আরমান (৩৮), পিতা-মোঃ আবুল ফজল, সাং-ডুবি, থানা-বটিয়াঘাটা, জেলা-খুলনাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময়ে গ্রেফতারকৃত ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট এম সোহেল আরমান এর হেফাজত হতে অবৈধভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত জরিমানা আদায়ের বই, ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক কারাদন্ড বা জরিমানার জন্য পরোয়ানা ফরম, জব্দ তালিকা ফরম, অভিযোগ গঠন ফরম, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা সংক্রান্ত রিপোর্ট ফরম, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় খুলনার এবং মোঃ আসিফুর রহমান,পরিচিতি নম্বর-১৬৫০৫, সিনিয়র সহকারী এক্সিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদপ্তর, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়, খুলনা নামক ২টি সীল এবং ৭টি ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ সংক্রান্ত গুরুতর অপরাধের দায়ে গ্রেফতারকৃত ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ের প্রতারকের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী লাভলু হোটেলের ম্যানেজার কেএমপি’র আওতাধীন খুলনা সদর থানায় বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেন। খুলনা সদর থানার মামলা নং-১৪, তারিখ-১০/৬/২০২৪ ধারা-১৭০/৪০৬/৪১৯/৪২০/৪৬৬/৪৬৮/৪৭১/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়।