মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু: জেন্ডার সমতা- শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর হান্নানা বেগম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ সদস্য অধ্যাপক মাহফুজা খানম। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের জনশিক্ষা বিভাগের কীপার আসমা ফেরদৌসি। গতকাল ছিল ২৬ মার্চ। ৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের শৌর্য-বীর্যের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন আজ। স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির পেছনে বহু ত্যাগ, দীর্ঘ সংগ্রাম ও অনেক কান্না এবং বেদনার ইতিহাস জড়িয়ে আছে। ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার পর সাড়ে সাত কোটি বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াকু ও জীবনপন ত্যাগ এবং স্বাধীনতার মহান আকাঙ্খায় দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে একই বছরের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল একটি ভূখণ্ডের, যার নাম বাংলাদেশ। ৩০ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে বলে বক্তব্যে উঠে আসে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যই আজীবন সংগ্রাম করেননি, তিনি বাঙালি নারীদের কীভাবে বৈষম্যহীন মর্যাদাপূর্ণ পারিবারিক ও সামাজিক অবকাঠামোতে সংযুক্ত করা যায়, সেই ব্যাপারেও সজাগ ছিলেন। বঙ্গবন্ধু নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী-পুরুষের সমকক্ষতায় বিশ্বাসী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই আমাদের দেশের নারীর অবস্থা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত ছিলেন এবং নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্ন পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। তিনিই প্রথম ৭২-এর সংবিধানে নারীর অধিকারের বিষয়টি সংযোজন করেছেন। আমাদের সবাইকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে একসাথে কাজ করতে হবে। সবাই মিলে একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব বলে বক্তারা অভিমত ব্যাক্ত করেন।