চুয়াডাঙ্গায় শতভাগ মেধা-যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কোন প্রকার অর্থিক লেনদেন ছাড়াই পুলিশের ট্রেইনি বিক্রুট কনস্টবল (টি আর সি) পদে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশের চাকরি পেলেন ২৮ তরুন-তরুনী। এই চাকরি পেতে অনলাইনে জনপ্রতি খরচ হয়েছে মাত্র ১২২ টাকা। শনিবার রাত ৯টার দিকে পুলিশ লাইন্স ড্রিলশেডে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষনা করেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান (পিপিএম -সেবা)। সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ২৪ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী প্রার্থী নিয়োগ বোর্ড কর্তৃক চূড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত হয়। কোন প্রকার তদবির বা আর্থিক লেনদেন ছাড়াই নিয়োগ বোর্ড কর্তৃক চূড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত হওয়ায় নির্বাচিতদের নাম ঘোষনার সময় জেলা পুলিশ লাইন মাঠে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ১২২ টাকায় চাকরি পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তাদের সবাই। ফলাফল ঘোষনার পর তাদেরকে পুলিশ সদস্য হিসেবে বরন করে নিয়েছে জেলা পুলিশের সদস্যরা। একই সঙ্গে নিয়োগ প্রাপ্তরা ভবিষ্যতে দেশের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তারা। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান (পিপিএম-সেবা) বলেন, আমরা আন্তরিকতার সাথে আপ্রান চেষ্টা করেছি নিয়োগ প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন করার জন্য। শেষ পর্যন্ত শতভাগ ন্যায়, নীতি ও নিষ্ঠার সঙ্গে এ প্রক্রিয়া আমরা সম্পন্ন করতে পেরেছি। কোন প্রকার স্বজন প্রীতি, অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়নি, এটা আমি দৃঢ়চিত্তে বলতে পারি। এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রিয়াজুল ইসলাম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, নিয়োগ বোর্ডের সদস্য মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ কামরুল আহসান, মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্বরত আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।