গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার থেকে সিংড়াতলী আঞ্চলিক সড়কের অটো স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি রোধে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে অটোরিকশা চালকরা। নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিদিন জমিয়েছে নিজেদের পরিশ্রমের কিছু সঞ্চয়। আর সেই সঞ্চয়ের টাকা বছর শেষে অটোরিকশা চালকদের হাতে তুলে দিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজীপুর (সদর সার্কেল) মিরাজুল ইসলাম। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজীপুর (সদর সার্কেল) মিরাজুল ইসলাম বলেন, আপনারা যদি এই ভাবে সব সময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করেন তাহলে কোন সন্ত্রাস চাঁদাবাজ আপনাদেরকে কিছুই করতে পারবে না। তারপরও যদি কেউ চাঁদাবাজি করতে আসে তাহলে সাথে সাথে আমাদেরকে জানাবেন আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো। উপস্থিত অটোরিকশা চালকরা বলেন, আমাদের অটোরিকশা স্ট্যান্ডে বিভিন্ন সময় অনেকে চাঁদা দাবি করতো।যখনি তাদের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে যাই তখনেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দদের সহযোগিতায় নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ হই। নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে বিশ টাকা করে সঞ্চয় জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় । আর আমাদের মধ্যে থেকে একজনকে লাইনম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। যাতে করে সড়কে কোন প্রকার যানজট বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। সেই সঞ্চয় থেকে লাইনম্যানের মাসিক বেতন দিয়ে যে টাকা থাকে সে টাকা আবার বছর শেষে আমাদেরকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এতে করে আমরা একসাথে অনেকগুলো টাকা পেয়ে যেমন উপকৃত হই। আবার অন্যদিকে কেউ চাঁদাবাজি করতেও সাহস পায় না। ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম মোল্লা বলেন, স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি বন্ধে অটোরিকশা চালকদের এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। এতে করে একদিকে যেমন চাঁদাবাজি বন্ধ হচ্ছে ঠিক অন্যদিকে আবার একসাথে অনেকগুলো টাকা পেয়ে তারাও উপকৃত হচ্ছে। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা আফাজ উদ্দিন কাইয়া, কে. এম, ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, বাঘের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি বাবুল সরকার, গাজীপুর সদর উপজেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি সাইজ উদ্দিন আহমেদ, ১নং ওয়ার্ড কৃষকলীগের সভাপতি হাবিনুর ইসলাম, ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ন-আহবায়ক সাদিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমীন মোল্লা প্রমুখ। আরও উপস্থিত ছিলেন ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন কৃষকলীগসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দুগণ। অটো চালকদের ভাষ্যমতে জানা যায়, গত তিন বছর ধরে এ কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনা করে আসছেন চালকরা। নিজেদের পরিশ্রমের সঞ্চয়ের জমানো টাকা দিয়ে প্রতি বছর বনভোজন করা হয়। আবার অসহায় মানুষদেরকেও সহযোগিতা করেন তারা।