গাইবান্ধার সদর উপজেলার বল্লমঝাড়ে শফিকুর রহমান পাভেল (৩৭) নামে এক ব্যাক্তির মরদেহ সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এব্যাপারে এক নারীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার ১৩ মার্চ /২৪ দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ইবনে মিজান তার কার্যালয়ে প্রেস কনফারেন্সে জানান,
শনিবার ৯ মার্চ /২৪ সন্ধ্যায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সামাদ আকন্দের ছেলে পাভেলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। প্রতিবেশী
হত্যাকাণ্ডের সাথে জরিত পলাতক আসামি শাহীন।মন্টু মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান হাবি,জবিউল ইসলামের ছেলে সুজন মিয়া.এবং শাহ আলমের স্ত্রী অমেলা বেগম। সেখানে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে পাভেল কে হত্যা করে। এবং পরে পার্শ্ববর্তী বাড়ির এক পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকে তার লাশ গুম করে রাখে।
১০ মার্চ এব্যাপারে পাভেলের ভাই সদর থানায় একটি জিডি করেন। এরই প্রক্ষিতে নিখোঁজের তিনদিন পর গত ১২ মার্চ/২৪ সকালে ওই গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে পাভেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রেস কনফারেন্সে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ইবনে মিজান আরও বলেন, গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ আকন্দের ছেলে পাভেল।
তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক রাখার পর তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী নিখোঁজের তিনদিন পর পাভেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা
আসামিরা স্বীকার করেছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় পাভেলের বড় ভাই গাইবান্ধা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। উক্ত প্রেস বিফিং এ উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো. ইব্রাহিম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুদ রানা, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত মো. সেরাজুল হক, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।