ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বাবাকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ছেলে নাঈম ফকির(২২) সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার(১২ মার্চ) রাত ৮টার দিকে ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে শুরুর অংশ ভাঙ্গাতে মোটরসাইকেলে ইউটার্ণ(ট আকৃতির সড়কে বাঁক নেওয়া) নিতে গিয়ে সড়কের পাশের রেলিংয়ে বারি খেয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি। তিনি ভাঙ্গা পৌরসভার ছিলাধরচর মহল্লার কিবরিয়া ফকিরের ছেলে। ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়,গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাতে ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে নাঈম একা ১৫০ সিসির একটি পালসার মোটরসাইকেল (ঢাকা মেট্রো-ল-৩২-৩৩৯২) চালাচ্ছিলেন। ওই সময় মোটরসাইকেলটি নিয়ে তিনি বেপরোয়া গতিতে সড়কে ইউটার্ণ নিয়ে বিপরীত দিকে যেতে গেলে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। পরে মোটরসাইকেলসহ তিনি সড়কের পাশের স্টিলের রেলিং এ বারি খান। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই ) আব্দুল্লাহেল বাকী বলেন, এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বাবা-মায়ের কলহের জের ধরে বাবা কিবরিয়া ফকির (৫৫) কে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন ছেলে নাঈম। ওইদিন রাতেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবার মৃত্যু হয়। কিবরিয়ার তিন ছেলের মধ্যে নাঈম ছিলেন মেজো। তিনি একটি খাবার হোটেলে কাজ করতেন। এ ঘটনায় ১২ ডিসেম্বর নিহত কিবরিয়ার ভাই মো. দেলোয়ার ফকির (৬৬) বাদী হয়ে নাঈমকে একমাত্র আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ভাঙ্গা থানায়। পরদিন ১৩ ডিসেম্বর সকালে নাঈমকে ঢাকার সাভার থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব ৮–এর একটি দল। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। নাঈম ওই মামলায় জামিনে মুক্ত ছিলেন।