
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নে ইট ভাটা দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ নাসির মোল্লা গ্রুপের উপর হামলার মূল হোতা নূর হোসেন বাউল ওরফে নুরু বাউলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত রবিবার বিকালে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে তাকে ময়মনসিংহের সদর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার কৃত নূর হোসেন বাউল ওরফে নুরু বাউলকে প্রয়োজনীয় পুলিশ প্রহরায় সোমবার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছে সিরাজদিখান থানা পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইট ভাটা দখলকে কেন্দ্র করে বালুচর ইউনিয়নের বাসিন্দা নাসির মোল্লা ও আলেক চাঁন মুন্সীর লোকজনের সাথে একই ইউনিয়নের নূর হোসেন বাউল ওরফে নুরু বাউল ও শহীদ বাউলের লোকজনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার জেরে পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে মোল্লাকান্দি গ্রামের নাসির মোল্লার লোকজনের ওপর টেটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নুর বাউলের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় মোল্লা ও মুন্সী বংশের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে টেটা নিয়ে পাল্টা হামলা চালিয়ে প্রতিপক্ষের হামলার প্রতিবাদ করে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন টেটাবিদ্ধ হয়ে ৪জন গুরুত্বর আহতসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেন বাউল ওরফে নুরু বাউলসহ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে সিরাজদিখান থানা পুলিশ। এছাড়া উভয় পক্ষ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আরো দুইটি মামলা দায়ের করে। দায়েরকৃত মামলায় এ পর্যন্ত দুই পক্ষের বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছে সিরাজদিখান থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামী নূর হোসেন বাউল ওরফে নুরু বাউল বালুচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। সে দলীয় ও স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে ইট ভাটা দখল, ইট ভাটায় চাঁদাবাজিসহ স্থানীয় বিচার সালিশের মূল হোতা হিসেবে নেতৃত্বে দিয়ে আসছিলেন। তকবির হত্যা মামলাসহ তার বিরুদ্ধে মোট ৮ টি মামলা বিজ্ঞ আদালতে চলমান রয়েছে। এ ব্যপারে সিরাজদিখান থানার ওসি মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার বালুচর ইউনিয়নে দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে টেঁটা যুদ্ধ সংঘটিত হয়ে আসছিল।