ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘ঐতিহাসিক চুক্তি’কে স্বাগত জানানোয় মিসর, ওমান ও বাহরাইনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এই তিন দেশই সৌদি-আমিরাত বলয়ের দেশ হিসেবে পরিচিত। তবে রিয়াদের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রকাশ্য বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে নেতানিয়াহু বলেন, “ইসরায়েল ও আমিরাতের মধ্যে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তিতে সমর্থন দেওয়ায় আমি মিসরের প্রেসিডেন্ট আল সিসি এবং ওমান ও বাহরাইনের সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। এই চুক্তি ‘শান্তির পরিসরকে’ আরও ব্যাপক করে তুলেছে। পুরো অঞ্চলের জন্যই এটি ইতিবাচক।”
এর আগে ইসরায়েলের সঙ্গে কেবল মাত্র দুটি আরব রাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক হয়েছে। প্রথমটি মিসরের সঙ্গে ১৯৭৯ সালে। এই চুক্তি করার পরিণামে মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতকে প্রাণ দিতে হয়েছে। দ্বিতীয়টি জর্ডানের সঙ্গে ১৯৯৪ সালে।
১৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার যেভাবে ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ঘোষণাটি এসেছিল, তা সবাইকে হতচকিত করেছে। একইসঙ্গে বিশ্বজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলেছেন।
এই চুক্তির পিছনে মধ্যস্থতা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনিই প্রথম এক বিবৃতিতে এই ঘটনা জানিয়েছেন। পুরো আলোচনাটি চলছিল বেশ গোপনে। এতটাই গোপনে যে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যন্ত নাকি এ বিষয়ে কিছু জানতেন না।
ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদের মধ্যে এই চুক্তিকে এক ‘ঐতিহাসিক মূহুর্ত’ বলে বর্ণনা করেছেন।
ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ইসরায়েল ঘেঁষা এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘বরফ যেহেতু গলেছে এখন আমি আশা করবো আরও অনেক আরব এবং মুসলিম দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অনুসরণ করবে।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই ঘোষণা দেওয়ার পরপরই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু হিব্রুতে টুইট করেন, ‘এক ঐতিহাসিক দিন।’ খবর আল জাজিরা।