ePaper

টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চাচার বিরুদ্ধে যুবকের সংবাদ সম্মেলন

সৌমিত্র সুমন, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মাইজভান্ডারি খানকা শরীফের জমি ও পারিবারিক সম্পত্তির ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাত, পাওনা টাকা না দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো এবং জীবননাশের হুমকির অভিযোগ তুলে সৎ চাচা ও চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মিঠু হাওলাদার (৩৫) নামের এক যুবক। গতকাল শনিবার বেলা বারোটায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মিঠু হাওলাদার। এ সময় তার স্ত্রী শাহিনুর বেগম, মা আছমা বেগম ও চাচি কাজল রেখাসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে মিঠু জানান, তার বাবা জহিরুল ইসলাম ও দাদা ওয়াজেদ আলী হাওলাদার মাইজভান্ডার শরীফের মুরিদ ছিলেন। ২০০২ সালে তার বাবা খানকা শরীফের নামে ৯ শতাংশ জমি দান করেন। ২০০৩ সালে বাবার মৃত্যুর পর সৎ চাচা নাসির হাওলাদার খানকার সভাপতির দায়িত্ব নেন এবং পরে পায়রা বন্দর নির্মাণের সময় ওই জমি ও ঘরের ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে আত্মসাত করেন। এমনকি বন্দর কর্তৃপক্ষ যে নতুন ঘর নির্মাণ করে দেয়, তাও দখলে নেন। মিঠুর অভিযোগ, তার দাদার নামে থাকা আরও কয়েক একর জমি নিজের ছেলেদের নামে বিএস রেকর্ড করে তা বিক্রি করে দেন নাসির হাওলাদার। এসব জমির অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের টাকা থেকেও বঞ্চিত হন তারা। জমির ভাগ চাইলে চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা তালবাহানা শুরু করে। তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালে হালিম হাওলাদার তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ধার নিলেও তা ফেরত দেননি। অভিযোগ দেওয়ার পর বিষয়টি সেনাবাহিনী ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সালিশে ওঠে, কিন্তু সমাধান হয়নি। উল্টো তার বিরুদ্ধে ট্রলারের মালামাল চুরির মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেন। ওই মামলায় তিনি ২৩ দিন জেলেও ছিলেন। পাওনা টাকা না পেয়ে তার স্ত্রী ২০ মে আদালতে মামলা করেছেন। মিঠুর দাবি, শুধু জমির অংশ এবং পাওনা টাকা চাওয়ায় তাকে সম্মানহানি ও জীবননাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও সুবিচার দাবি করেন। অভিযোগ বিষয়ে জানতে নাসির হাওলাদারের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “মিঠু জমি নিয়ে আদালতে দেওয়ানি মামলা করেছেন, তা চলমান রয়েছে। তার অভিযোগগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট।” চাচাতো ভাই হালিম হাওলাদার বলেন, “মিঠুর সঙ্গে আমার কোনো টাকা-পয়সার লেনদেন হয়নি। তার অভিযোগ ভিত্তিহীন।                 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *