সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স করোনা কালীন সময় থেকে করোনা সম্পর্কীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা সেবা প্রদানের পাশাপাশি তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে, যার ফলশ্রুতিতে এই সরকারী প্রতিষ্ঠানটি টপ টেন ক্যাটাগরিতে ন্যাশনাল হেলথ মিনিষ্টার এওয়ার্ড ২০১৯ অর্জন করেছে। এছাড়া একটি উপজেলা হিসেবে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এই পর্যন্ত সর্বমোট ৮২২৯ জনের করোনার নমুনা সংগ্রহ করেছে, যা অনেক জেলায়ও সংগ্রহ করা সম্ভব হয় নাই। আর এই কাজটি সম্ভবপর হয়েছে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা, মোঃ সায়েমুল হুদার নিরলস পরিশ্রমের কারনে। সরেজমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন সেবা মুলক কার্যক্রম পরিদর্শন কালে এটা প্রতীয়মান হয়েছে যে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে গিয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাভাবিক স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হয়নি। পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। ডা. মোঃ সায়েমুল হুদা একজন বিচক্ষণ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসাবে ডেঙ্গু মহামারি আকারে যাতে রুপলাভ না করতে পারে সেজন্য সমগ্র উপজেলা ব্যাপী মশক নিধন কার্যক্রম চলমান রেখেছেন এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিভিন্ন সচেতনামুলক সভা ও সেমিনার চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এই সমগ্র স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পরিদর্শন কালে বেশ কয়েকটি বিষয় এই প্রতিবেদকের নজরে আসে, সেগুলো হলো আনুমানিক প্রায় ৭০ লক্ষাধিক জনগনের জন্য মাত্র একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যার ধারন ক্ষমতাও মাত্র ৫০ শয্যার!! এ ছাড়া যে ভবনটি রয়েছে বর্তমান ডিজিটাল যুগে সেটা বড়ই বেমানান। এ ভবনটি ভেঙ্গে ২০০ শয্যা বিশিষ্ট একটি অত্যাধুনিক ভবন নির্মানের আশু প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন সমগ্র সাভার উপজেলাবাসী। আরও একটি বিষয় লক্ষনীয় তা হলো, এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য নেই কোন মানসম্মত আবাসিক ভবন। এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয় ডা. মোঃ সায়েমুল হুদার সাথে। এব্যাপারে তিনি জানান, ইতোমধ্যে আমরা এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৯৯ শয্যায় উন্নীতকরন, পুরাতন ভবনটি ভেঙ্গে নতুন ভবন স্থাপন এবং সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অত্যাধুনিক ভবন নির্মানের ব্যাপারে মাননীয় মন্ত্রী মহাদয়ের ডিও লেটার সহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট পাঠানো হয়েছে।