ePaper

৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি, শুষ্ক তিস্তায় হঠাৎ উজানের ঢল

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

রিজু সরকার, বিশেষ প্রতিনিধি

তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচির ডাক দিয়েছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠন। পানিশূন্য নদীর বুকে তিস্তা বিধৌত উত্তরের পাঁচ জেলার লাখো মানুষ লাগাতার ওই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা। ব্যাপক আলোচিত এই কর্মসূচি পালনের ঠিক দুদিন আগে আকস্মিকভাবে ধূ ধূ বালুচরে দেখা গেছে উজানের ঢল। শনিবার রাত ৯টার দিকে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার পানি কিছু বৃদ্ধি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, কিছু পানি বেড়েছে এই পানি বৃদ্ধিতে কিছু ক্ষতি হবে না। তাছাড়া পানি নিয়ন্ত্রণ করতে জলকপাট বন্ধ রাখা রয়েছে। দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় দেখা যায়, উজান থেকে আসা পানিতে বন্ধ থাকা জলকপাটগুলো উপচে পড়ছে পানি। এর মধ্যে ১ নস্বর জলকপাটটি খুলেও রাখা হয়েছে। এই অবস্থায় ব্যারাজের খানিকটা দূরে মূল নদীতে শনিবার সকালেও যেখানে ছিল ধূ ধূ বালুচর। সেখানে বিকাল থেকে বইছে পানি। এতে নদীকে অনেকটা টইটম্বুর মনে হচ্ছে। আকস্মিকভাবে পানি আসার খবরে অনেকেই ভিড় করেছেন নদীপাড়ে। ব্যারাজের পূর্ব দিকে শুকনো নদীতে যেখানে নদী রক্ষা আন্দোলনের মঞ্চ তৈরি হচ্ছে সেখানেও ছুঁই ছুঁই করছে পানি। তিস্তা তীরবর্তী মানুষরা জানান, বিগত দিন থেকেই পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এ ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে ফসলে জমি অনেক নষ্ট হয়ে যায়। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে যখন বাংলাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা আন্দোলন করছে ঠিক তখনই ভারত সরকার তিস্তায় পানি ছেড়ে দিয়েছে। এ কারণে মনে করেছে, তিস্তায় পানি ছাড়লে তারা এই আন্দোলনটি চালাতে পারবে না। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ কখনোই হারতে শিখেনি। ১৭ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি জনতার সমাবেশ অবশ্যই সফল করবে তিস্তা তীরবর্তী মানুষরা। সমাবেশে অংশ নেওয়া রমজান আলী বলেন, রংপুর অঞ্চলে এই সমাবেশ ঘিরে সকল দল-মত নির্বিশেষে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন। এতে সম্ভবত পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মাথা নষ্ট হয়েছে। আমরা এই জনতার সমাবেশ সফল করে মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ইনশাআল্লাহ করব। প্রসঙ্গত, ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলায় তিস্তাতীরবর্তি ১১টি স্থানে লাখো মানুষ ৪৮ ঘণ্টা ধরে লাগাতার অবস্থান করবে। এসময় তারা তিস্তার অবস্থা বিশ্ববাসীকে জানাতে রাতে হাজার হাজার মশাল জ্বালাবেন। এছাড়াও রয়েছে নানা কর্মসূচি। কর্মসূচিতে বিএনপির মহাসচিত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এছাড়া দলের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভিডিওকলে যুক্ত থাকবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *