রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ী জেলার জন্মান্ধ গফুর মল্লিকের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাজবাড়ী সদর উপজেলার পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের খোলাবাড়িয়া গ্রামের এই বৃদ্ধ ব্যক্তিটি, জীবনের শেষ প্রান্তে বেঁচে থাকার সংগ্রামে লড়ছেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর পেয়ে, তারেক রহমান এই বৃদ্ধের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। তারেক রহমানের নির্দেশে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় গফুর মল্লিকের সাথে সাক্ষাৎ করতে যান। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। এ অনুষ্ঠানে আমরা বিএনপি পরিবারের আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমনের নেতৃত্বে সংগঠনটির উপদেষ্টাবৃন্দ, সদস্য সচিব ও সদস্যবৃন্দ, রাজবাড়ী-২ আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর রশীদ, রাজবাড়ী-১ আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী রাজবাড়ী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি অ্যাড. মো. আসলাম মিয়া, রাজবাড়ী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম.এ খালেদ পাভেল সহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, কিন্তু ২৭০ দিনের মধ্যে পার্লামেন্ট গঠনের পর পাশ না হলে সেটা অটোমেটিক পাশ হবে। পৃথিবীর কোন দেশে এ ধরণের কোন ঘটনা নেই, এক কেন্দ্রীক, একদলীয় কর্তৃত্ববাদী দেশে সম্ভব। পার্লামেন্ট নির্বাচনের কি দরকার, গণভোট কি দরকার। সত্যিকার গণতন্ত্রের জন্য অফুরান্ত লড়াই আবু সাঈদ, মুগ্ধ, আহনাফ, ওয়াসিম আকরাম জীবন দিল, তার ঐক্যমত্যে কমিশনের এ ধরণের ভেজাল, জনগণের সাথে একটি প্রতারনামুলক জুলাই সনদ কিভাবে হয়। আমরা নিরাশাবাদী নয়, আমরা আশাবাদী। জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে, সংবিধান অনুযায়ী করতে হবে। আওয়ামী লীগ আসলে এক রকম, বাকশাল আসলে এক রকম, সংবাদপত্র নিশেধ করেছেন। জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র, মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিয়েছেন। গণতন্ত্র ও ধর্মীয় মুল্যবোধ জিয়াউর রহমান দিয়েছেন। নতুন সংবিধান করতে চান, সেটা অন্য জিনিস। জুলাই সনদে, সংবিধানের মধ্যে যেটা করা হয়েছে, সেটা পার্লামেন্টের মাধ্যমে পাশ করতে হবে। এভাবে আমরা সুন্দর রাষ্ট্র করতে পারবো না। এখানে বহু ষড়যন্ত্রকারীরা কাজ করছে। বিএনপির সাড়ে ৪শত ৫শত লোক মারা গেছে। আমরা জনগণের জন্য কাজ করবো। গণতান্ত্রিক শাসনে আমরা কাজ করবো। আগে খাতায় না লিখলেও পাশ করে দেওয়া হতো, এবার এইচএসসির রেজাল্ট দেখেছেন। উল্লেখ্য, গফুর মল্লিক জীবনের অধিকাংশ সময় বাসে ও ট্রেনে ফেরি করে নারকেলের নাড়ু, টেস্টি হজমি ও বাদাম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। যিনি কখনোই ভিক্ষা করতে চাননি। বয়সের ভারে কুঁজো হয়ে গেছেন এবং শরীরের অধিকাংশ শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। তার স্ত্রীকে নিয়ে সংসার হলেও তাদের কোনো সন্তান নেই। কিন্তু নিজের সম্মান রক্ষার্থে আজও কাজ করে যাচ্ছেন, এমনকি নিজের হাতে তৈরি করা নারকেলের নাড়ু ও বাদাম বিক্রি করেই জীবন ধারণ করতেন। এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে গফুর মল্লিকের কষ্টের জীবন নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। বিষয়টি নজরে আসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের।
