শরীয়তপুর প্রতিনিধি
একটি বাল্য বিয়ে সম্পাদনের দায়ে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ পৌরসভার নিকাহ রেজিষ্ট্রারের লাইসেন্স বাতিলের আদেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। আদালতের আদেশ ২মাস ১৪ দিনেও কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ডামুড্যা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) বলছেন জেলা রেকর্ড রুমে খোঁজ নিয়ে কপি পৌছানোর ব্যবস্থা নিবেন। জেলা রেজিষ্ট্রার বলছেন অফিসিয়াল কোন আদেশের কপি পায়নি। কপি পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডামুড্যা সহকারী কমিশনার ভুমি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ৪ জুন ডামুড্যা উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কুতুবপুর গ্রামের রতন চৌকিদারের নাবালিকা কন্যা তামান্না (১৭)কে পার্শ্ববর্তী ভেদরগঞ্জ উপজেলার উত্তর মহিষার গ্রামের জয়নাল আবেদীন সিকদারের ছেলে কবীর হোসেন সিকদারের সাথে বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ডামুড্যা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খবর পেয়ে ডামুড্যা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) কে অবহিত করলে সহকারী কমিশনার ভুমি আবদুল্লাহ আল মামুন সরেজমিন গিয়ে বাল্যবিয়ের সত্যতা পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কনের মা নুরুন্নাহার (৩৮) কে আটক করে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৮ ধারা লংঘনের দায়ে ২০০৯ সালের ৭(১) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেয়। একই সাথে ভেদরগঞ্জ পৌরসভার নিকাহ রেজিষ্ট্রার মাওলানা আবু সালেহ মোহাম্মদ জাফর এর লাইসেন্স বাতিল করার জন্য জেলা রেজিষ্ট্রার কে আদেশের কপি প্রেরনের নির্দেশ করেন। দীর্ঘ ২মাস ১৪ দিনে ও এ আদেশ এর কপি জেলা রেজিষ্ট্রারের কাছে পৌছেনি। ফলে তিনি কোন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেননি। এ নিয়ে এলাকায় জনসাধারনের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে নিকাহ রেজিষ্ট্রার মাওলানা আবু সালেহ মোহাম্মদ জাফর বলেন, আমার লাইসেন্সে অন্যলোকে আমার থেকে ভলিয়ম নিয়ে কাবিন করেছে। এ বিষয়টি আমি জানতাম না। আমি কাবিন করিনি।