পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে কয়েক বছরের মধ্যে বড় ধরনের সীমান্ত সংঘর্ষ হয়েছে এতে অন্তত ২২ জন নিহত ।
একটি সীমান্ত ক্রসিং এলাকায় এ সংঘর্ষের জন্য দুই পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করেছেন। ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে লোকজন সীমান্ত পারাপারের জন্য ক্রসিংয়ে ভিড় করেছিল।
তাদের ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর ছোড়া গোলায় ১৫ আফগান নিহত হয়েছে বলে ৩১ জুলাই শুক্রবার অভিযোগ করেছে আফগানিস্তান।
ওদিকে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলেছেন, আফগানিস্তানই ভিড় করা জনতার ওপর গুলি ছুড়েছে। পাকিস্তানি সেনারা কেবল স্থানীয় লোকজনের সুরক্ষায় এবং আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছে।
পাকিস্তানি অংশের হাসপাতালের কর্মকর্তারা সংঘর্ষে ৭ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে। আরও ৩১ জন আহত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের গভর্নর হায়াতুল্লাহ হায়াত বলেন, সংঘর্ষের সময় সীমান্ত শহর স্পিন বোলডাক এলাকায় মানুষের বাড়িঘরের ওপর গোলা পড়ে নারী ও শিশুসহ ১৫ জন নিহত হয়। এছাড়াও কমপক্ষে ৮০ জন আহত হয়েছেন।
পাকিস্তানের সীমান্ত শহর চমন এর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সীমান্ত পেরিয়ে আফগানিস্তানে ঢোকার অপেক্ষায় থাকা লোকজন অধৈর্য্য হয়ে পাকিস্তানের স্থাপনাগুলোতে হামলে পড়লে সহিংসতার সূত্রপাত হয়।
করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে শহরের সীমান্ত ক্রসিংটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বুধবার সেটি কিছু সময়ের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার আবারও ক্রসিং খোলার কথা থাকলেও সেটি না খোলায় লোকজন বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষুব্ধ লোকজন সেখানকার একটি কোয়ারেন্টিন সেন্টার এবং সরকারি স্থাপনায় আগুন দেয় বলে জানান চমন শহরের ওই কর্মকর্তা।
বিক্ষোভকারীরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ফোনে জানিয়েছে, পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীই জনতার ওপর প্রথম গুলি ছুড়েছে।
সীমান্ত ক্রসিং পেরিয়ে আফগানিস্তান-পাকিস্তান দু’পক্ষের লোকজনই এপার-ওপার যাতায়াত করে আসছে বহু দশক ধরে। কিন্তু চরমপন্থিদের মদদ দেওয়া নিয়ে দুই দেশের একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় কড়া নিরাপত্তা এবং নজরদারি চালু হয়েছে।