ePaper

পুতিন-শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদির বৈঠক ‘লজ্জাজনক’: যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠককে “লজ্জাজনক” আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো।তিনি বলেন, রাশিয়ার নয়, যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থাকা উচিত ভারতের। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে আবারও কড়া সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠককে তিনি আখ্যা দিয়েছেন “লজ্জাজনক”।নাভারো বলেন, “মোদিকে শি জিনপিং আর পুতিনের সঙ্গে এতো ঘনিষ্ঠ হতে দেখা দুঃখজনক। জানি না তিনি কী ভাবছেন। আশা করি তিনি বুঝবেন, রাশিয়ার নয়, আমাদের পাশে থাকা উচিত।”এর আগে গত রোববার চীনে অনুষ্ঠিত এসসিও সম্মেলনে যোগ দিয়ে মোদি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর একদিন পরই নাভারোর এই মন্তব্য এলো।ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের ওপর শুল্ক আরোপ করার পর থেকে নাভারো বারবার অভিযোগ করে আসছেন, ভারত রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে যাচ্ছে এবং এর আয় ইউক্রেনে যুদ্ধ চালাতে ব্যবহার করছে মস্কো।

এছাড়া ভারতের বাণিজ্যনীতিকে নিশানা করে এর আগেও নাভারো বলেছিলেন, ভারত হলো “ট্যারিফের মহারাজা”। তিনি আরও বলেছিলেন, বড় অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে ভারতের শুল্কহার সবচেয়ে বেশি এবং দেশটি তা স্বীকার করতেও রাজি নয়।

তিনি বলেন, “ভারতের সমস্যাটা দুই দিক থেকে— ২৫ শতাংশ অন্যায্য বাণিজ্যের কারণে, আর বাকি ২৫ শতাংশ রাশিয়ার তেল কেনার শাস্তি হিসেবে”। নাভারো আরও বলেন, ভারত বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করে চলেছে, অথচ প্রমাণ আছে— তারা রুশ তেল কিনছেই।

ভারত রাশিয়ার তেল ছাড়কৃত দামে কিনছে— এ নিয়ে আরও তীব্র সমালোচনা করে নাভারো বলেন, এতে সাধারণ ভারতীয়দের ক্ষতির বিনিময়ে উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণরা মুনাফা করছে। তিনি এমনকি ভারতকে “ক্রেমলিনের মানি লন্ড্রির জায়গা” বলেও আখ্যা দেন।

তার অভিযোগ, ভারতীয় শোধনাগারগুলো রুশ তেল সস্তায় কিনে প্রক্রিয়াজাত করে বাড়তি দামে বিদেশে রপ্তানি করছে। তিনি বলেন, “এতে ইউক্রেনীয়রা মরছে, আর আমাদের করদাতাদের আরও টাকা দিতে হচ্ছে।”ভারতের সঙ্গে মস্কো ও বেইজিংয়ের ঘনিষ্ঠতা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *