মোঃ রুহুল আমিন রাজু জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের মাদারদহের উপর তৈরি বাঁশের সাঁকো দিয়ে ১৫হাজার মানুষের যাতায়াতের ও হাটবাজার করে নিয়ে নিয়ে যাওয়া, স্কুল, কলেজ, কেজি স্কুল ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র, ছাত্রীদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এই বাঁশের সাঁকো। এই সাঁকো দিয়ে পারাপার হয় ২টি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ। কিন্তু, সাঁকোটি এখন সচল নয়। নড়বড়ে, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশ ভেঙ্গে পড়ছে, বাধঁনগুলো পঁচে গেছে। দিনের বেলা কোনো রকম ভয়ে ভয়ে পাড় হওয়া গেলেও রাতের আধারে পাড় হওয়া হয়ে উঠা মারাত্বক বিপদজনক! বর্তমানে এখানে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণের দীর্ঘ দিনের দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী। এমন দাবির প্রক্ষিতে সম্প্রতি সাঁকোটি পরিদর্শন করেছেন, মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম আলমগীর ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। জানা যায়, ২০০৮ সালে মেলান্দহ উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের অন্তর্গত চিনিতোলা গ্রামের মাদারদহের উপর বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করেন এলাকাবাসী। এরপর থেকে চিনিতোলা, হরিপুর, পাথালিয়া, ঠেংঙে, ভালুকা, পীরগাছা, বাগুরপাড়া নাংলা, বয়রাডাংগাসহ আরও কয়েকটি গ্রামের মানুষ গমনাগমনের একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠে সাঁকোটি। এরমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বেশ কয়েকবার মেরামত করা হলেও বর্তমানে সাঁকোটির নাজুক অবস্থা। এর উপর দিয়ে যাতায়াতে ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপদজনক হয়ে উঠেছে। কোন মূহুর্তে দুর্ঘটনা ঘটে মানুষের মৃত্যুর পর্যন্ত হতে পারে। এমতাবস্থায় কয়েক গ্রামের মানুষের চলাচলের এ দুর্ভোগ নিরসনে সাঁকোটির অবকাঠামো পরিবর্তন করে এখানে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এমন দাবির প্রেক্ষিতে সম্প্রতি বাঁশের সাঁকোটি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এসএম আলমগীর হোসেন বলেন, এখানে একটি ফুটব্রিজ নির্মাণ করা যায় কি? না তা খতিয়ে দেখতে আমি পিআইওকে নির্দেশ দিয়েছি। এব্যাপারে নাংলা ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কিসমত পাশা বলেন, চিনিতোলা গ্রামের সেই বাঁশের সাঁকোটির স্থলে একটি পাকা ব্রিজের দাবি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে জনগণের সে দাবি বার বার উত্থাপন করেছি। কিন্তু, আজোবদি সে দাবি পূরণ হয়নি। এবার হয় কি না? তা-ই দেখার জন্য অপেক্ষায় আছেন এবং তিনি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন যে যাতে অতি দ্রুত এই ব্রীজটি নির্মাণ করে জনগণের ভোগান্তি লাগব হয়।