ব্যুরো চিফ, বৃহত্তর ফরিদপুর
ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের তত্ত্বাবধানে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় “জ্ঞান-বিজ্ঞানে করবো জয়, সেরা হবো বিশ্বময়” এই স্লোগানে ফরিদপুর তারার মেলা ঈশান মেমোরিয়াল স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে ২১-২২ মে দুই দিন ব্যাপি ৪৬ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ-২০২৫ পালিত হয়েছে। গত বুধবার ৪৬ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ-২০২৫ এর উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্যা। ফরিদপুরের বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ গ্রহণ করেন। ফরিদপুরের ৯ টি উপজেলার ৯টি এবং মহিম ইনস্টিটিউট, জেলা প্রশাসন স্কুল এ্যান্ড কলেজ, তারার মেলা ঈশান মেমোরিয়াল স্কুল, ক্লাডিট টেক ইনস্টিটিউট, প্রসিড বিজ্ঞান ক্লাব, রোবটিক্স এ্যান্ড সাইন্স ক্লাব, ডোমরাকান্দী উচ্চ বিদ্যালয়, ফরিদপুর জিলা স্কুল, ফরিদপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ, ফরিদপুর মুসলিম মিশন কলেজ, সরকারি ইয়াছিন কলেজ, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এই ১৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্টলের মাধ্যমে এতে প্রত্যক্ষভাবে অংশ গ্রহন করতে দেখা যায়। কিন্তু ফরিদপুর পৌর এলাকায় অবস্থিত আরো অনেক গুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এতে প্রত্যক্ষ ভাবে অংশ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। এদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল ফরিদপুর সরকারি কলেজ, ফরিদপুর সিটি কলেজ, ফরিদপুর মহাবিদ্যালয়, ফরিদপুর কৃষি কলেজ, ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, মেরিন একাডেমি ফরিদপুর, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট ফরিদপুর, হিতোষী উচ্চ বিদ্যালয়, বায়তুল মোকাদ্দেম ইনস্টিটিউট, সারদা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়, কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়, পুলিশ লাইনস উচ্চ বিদ্যালয়, আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ফরিদপুর, ঈশান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ফরিদপুর, হালিমা গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজ ফরিদপুর, কবিরবাগ স্কুল এ্যান্ড কলেজ, আনছার উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় অম্বিকাপুর-ফরিদপুর, নুরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়, শোভারামপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রমুখ। তাছাড়া ফরিদপুর সদর উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের আর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রত্যক্ষ ভাবে অংশ গ্রহন করতে দেখা যায় নাই। এছাড়াও কোন মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও প্রত্যক্ষ ভাবে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল মোল্যা বলেন মাধ্যমিক স্কুল গুলোর মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সেরা নির্বাচিত হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখানে অংশ গ্রহণ করছে। এছাড়া ফরিদপুর শহরের নির্বাচিত কিছু প্রতিষ্ঠান এখানে অংশ গ্রহণ করছে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এখানে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানোর সুযোগ ছিল না। সবাইকে নিয়ে আয়োজন করতে গেলে অনেক বড় পরিসরের প্রয়োজন। পুরস্কার বিতরণের আগে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্যা প্রতিটি স্টল পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সামগ্রী দেখেন এবং শিক্ষার্থীদের ব্রিফিং শোনেন। সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) সুস্মিতা সাহার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্যা, বিশেষ অতিথি ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল। এছাড়া বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) সোহরাব হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের কর্মকর্তা নিউটন বালা, ফরিদপুর জেলা স্কুলের শিক্ষার্থী জাওয়াদ আজমাইন প্রমুখ। বক্তারা আধুনিক বিশ্বে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে দিক নির্দেশনা মুলক বক্তব্য দেন। বর্তমান সারা পৃথিবীর ক্ষমতার প্রতিযোগিতায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সাফল্য ছাড়া মাথা উঁচু করে সম্মানিত জাতি হিসাবে বেঁচে থাকা অসম্ভব বলেন বক্তারা। শেষে বিভিন্ন ইভেন্টে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়। এ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ইভেন্টে প্রথম স্থান অর্জনকারীগন বিভাগীয় পর্যায়ে অংশ গ্রহন করবেন।
