ePaper

কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১২

আহসান বিশ্বাস, কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান, সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান ও কুষ্টিয়া নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি সুলতান মারুফ তালহাসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। রোববার (১৬ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কাটাইখানা মোড়ের সমবায় মার্কেটের সামনে সূত্রপাত হয়ে পরে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুপক্ষ একে অন্যকে দায়ী করে বক্তব্য দিচ্ছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ জানান, রোববার রাতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ঘটনার তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। যারাই জড়িত থাক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র পারভেজ মোশাররফ বলেন, যারা বর্তমান কমিটিতে পদ পদবি না পেয়ে বিক্ষুদ্ধ হয়েছে তারাই এই কমিটিকে বিতর্কিত করতে চাচ্ছে, তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব ও নাগরিক কমিটির নেতাসহ তাদের অন্তত ৮-৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান, নাগরিক কমিটির সদস্য সুলতান মারুফ তালহা, আলভী, ইব্রাহিম, জুবায়ের, নয়ন, আলী আহসান, সোহান ও রেজোয়ান। এর মধ্যে ইব্রাহিমের অবস্থা গুরুতর। তার মাথায় লাঠির আঘাতসহ বেশ কয়েকটি আঘাত রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক সায়াদ ইসলাম শ্রেষ্ঠ সাংবাদিকদের জানান, কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে সমবায় মার্কেটে সম্প্রতি আবরার ফাহাদ লাইব্রেরি নামের একটি পাঠাগার উদ্বোধন করা হয়েছে। সেখানে নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা বসেন। কিছু উগ্রপন্থী মানুষ, যারা লাইব্রেরিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে, তারাই এ হামলা চালিয়েছে। অপরপক্ষে পাল্টা অভিযোগ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার যুগ্ম-সদস্য সচিব সুজন মাহমুদ। তিনি বলেন, যে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে, তার পুরো দায়ভার জেলার আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান, সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির সদর প্রতিনিধি সুলতান মারুফ তালহার। সুজন বলেন, মূলত এদের অপকর্ম, চাঁদাবাজি, মামলার ব্যবসা, কুমারখালি আর মিরপুরের বালুর ঘাট থেকে চাঁদা নেওয়া, সদর কমিটিতে ছাত্রলীগ পুনর্বাসন করা সহ বেশকিছু সুর্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করি। এমনকি আমাদের কুষ্টিয়ার গর্ব আবরার ফাহাদের নামে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করে সেখানে ছাত্রলীগের ছেলেদের নিয়ে আড্ডা দেয় তারা। এই কারণে লাইব্রেরির সামনের রাস্তায় আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা কালে তারা আমাদের ছেলেদের ওপর হামলা করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *